ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটি নীতিমালা অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৫
আইসিটি নীতিমালা অনুমোদন ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি করতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা-২০১৫’-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়।



বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৯ সালে প্রণীত নীতিমালাটি হালনাগাদ করে আইসিটি বিভাগ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে ২০১১ সালের ১১ মার্চ মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসে। তাতে কিছু অনুশাসনও দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা নীতিমালা অনুমোদন দিয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেক্টর কীভাবে পরিচালিত হবে- নীতিমালায় তার সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভিশন-২০২১’এ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশের সান্নিধ্যে চলে যাওয়ার জন্য কলাকৌশলের মধ্যে আইসিটির ব্যাপকতর ও গভীরতর ব্যবহার- এটি উন্নয়নের অন্যতম অবলম্বন।

নীতিমালায় আইসিটি কীভাবে, কী প্রক্রিয়ায়, কী অবয়বে ব্যবহার করা হবে তার দিক-নির্দেশনা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কারা কী কাজ করবে সেজন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও টাইমফ্রেম বেধে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ২০১৬ সালের মধ্যে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা, ২০১৮ সালের মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে ২০২১ সালের মধ্যে।

নীতিমালায় একটি ভিশন বা রুপকল্প রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, বহুমুখি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ এবং জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রতিষ্ঠিত করা, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন নিশ্চিত করা, সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা বৃদ্ধি করা, সরকারি-বেসরকারি খাতে অংশীদারিত্বে জনসেবা নিশ্চিত করা এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের তালিকায় পরিণত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করা।

ভিশনের আওতায় ১০টি উদ্দেশ্য, ৫৬টি কৌশলগত বিষয়বস্তু এবং ৩০৬টি করণীয় বিষয় রয়েছে। প্রত্যেকটি কী মেয়াদে কারা কীভাবে বাস্তবায় করবে তাও উল্লেখ রয়েছে।

মন্ত্রিসভা আশা করে, এটি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সরকারের রুপকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নীতিমালার বৈশিষ্ট্য হলো- সরকারের যারা কাজ করবেন তাদের জন্য নির্দেশিকা এবং আইসিটি বিকাশে বেসরকারি খাত, এনজিও ও সুশীল সমাজের ভূমিকা হাইলাইট করা। অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কীভাবে আইসিটি উন্নত করা যায় তারও নির্দেশিকা রয়েছে নীতিমালায়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিমালার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি করা। আমাদের সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্র রয়েছে। যে সমস্ত খাতে দেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে তার মধ্যে আইসিটি একটি।

বেসরকারি খাতের জন্য কোনো বিধি-নিষেধ রয়েছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না। শাস্তি সংক্রান্ত কোনো বিষয়ও এতে অন্তর্ভূক্ত নেই।

মন্ত্রিসভা কিছু পরিমার্জনের অনুশাসন দিয়েছে। এরপর গেজেট প্রকাশ ও নীতিমালাটি ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।