ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প

প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগুচ্ছে তৈরি পোশাকশিল্প

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৭
প্রযুক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগুচ্ছে তৈরি পোশাকশিল্প আধুনিক সেলাই মেশিন

ঢাকা: প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল রেখে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিটি শাখায় উন্নয়নের ছোঁয়া। শিল্প-কলকারখানা আসছে নতুন নতুন আধুনিক ও উন্নতমানের যন্ত্রপাতি। এসব যন্ত্রপাতির জন্য কল-কারখানায় উৎপাদন খরচ কমিয়ে অল্প সময়ে ব্যাপক হারে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা সহজ হচ্ছে।

যার ফলাফল হিসেবে তৈরি পোশাকখাতে উত্তরোত্তর উন্নতির ধারা আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেই ধারাকে আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে তৈরি পোশাক শিল্পখাতের আরও উন্নতিকল্পে সম্প্রতি ঢাকার ইণ্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে ‘১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৭’।

প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলমান এ প্রদর্শনীটি বুধবার (৯ আগস্ট) থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী শনিবার (১২ আগস্ট) পর্যন্ত।  

প্রদর্শনীটি ভোক্তা ও উদ্যোক্তাদের জন্য একটি যুগপোযোগী প্লাটফর্ম। কারণ, কার্যকরী যোগাযোগের মাধ্যমে মাধ্যমে উদ্যোক্তারা নতুন নতুন প্রযুক্তি ও সেবার সাথে পরিচিত হতে পারছেন।

বুধবার (৯ আগস্ট) প্রদর্শনীতে ঘুরে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের কাপড়, নব আবিষ্কৃত মেশিনারিজ ও বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্যে সমাহার।

প্রদর্শনীতে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারের প্যাভিলিয়নগুলো ছাড়াও তাঁবু খাটিয়ে শীতাতপ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বসানো হয়েছে সর্বমোট ১৪০০টি স্টল। দেশি-বিদেশি ১১৫০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বদ্ধপরিকর সঠিক সেবা প্রদানের করতে।
১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ
এইচ এম কালার লিমিটেডের ব্যবস্থাপক রাকিব বাংলানিউজকে এমনটাই জানান। তিনি বলেন, যে স্টলেই যাচ্ছি সেবা অত্যন্ত ভালো। একটা আন্তর্জাতিক মেলা বা প্রদর্শনীর মান এরকমই হয় বলে আমার ধারণা। এবার নতুন নতুন কিছু মেশিনারিজ দেখেছি, যা অনেক বেশি উপকারি হবে আমাদের পোশাক শিল্পকে উন্নতকরণে।

মেলার জামান মার্কেটিং কোম্পানির স্টলে দেখা যায় ‘ইকো সলভেন্ট প্রিন্টার ইপসন ডিএক্স-৫ হেড’ মেশিন। কাপড়ে প্রিন্ট করার জন্য উন্নতমানের এ যন্ত্রটি সম্পর্কে কোম্পানিটির মার্কেটিং ম্যানেজার সোহাগ ইসলাম বলেন, এটা ১.৮ মিটার চওড়া একটি প্রিন্টিং মেশিন। এটা বাজারে এসেছে প্রায় ৬ মাস আগে। এটার প্রিন্ট স্পিড অনেক ভালো। ক্লিনিং, হিটিং, ড্রাইং সিস্টেমও অনেক ভালো। তবে এই মেশিন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উপযোগী না। বৃহৎ আকারে ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই উপকারি হবে।

সিংট্রনিক্স কোম্পানির স্টলে এসেছে নবআবিষ্কৃত এলইডি-ইউভি প্রিন্টার। যন্ত্রটি প্রসঙ্গে কোম্পানিটির চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আজীম হোসাইন বলেন, এই মেশিন দিয়ে যে কোন পদার্থে খুব দ্রুত এবং সহজে ডিজাইন করা যাবে। বাজারে এটি একদম নতুন এসেছে। ডিজাইনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ছাড়া আর কোনো ক্ষেত্রেই মানুষের সংস্পর্শের প্রয়োজন নেই।

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আগ্রহের সৃষ্টি করেছে আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনী। নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিক বাংলানিউজকে জানান, আমার খুব ছোট ব্যবসা। এই প্রদর্শনীতে এসেছি, এখানে এমন কিছু মেশিন ও অন্যান্য সামগ্রী পাওয়া যায় যা দিয়ে উৎপাদন খরচ কম হয় এবং কম সময়ে বেশি উৎপাদন করা সম্ভব হয়।

জ্যাক বাংলাদেশের স্টলে গিয়ে দেখা যায় ‘সেমি-ড্রাই কম্পিউটারাইজড লকস্টিচ মেশিন’। মেশিনটি সম্পর্কে কোম্পানিটির মার্কেটিং বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, এটা একটা অত্যাধুনিক কম্পিউটারাইজড সেলাই মেশিন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে অন্য মেশিনের তুলনায় এটি প্রায় ৭০ ভাগ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। এটাতে ড্রাই অয়েল প্যান সিস্টেম, সেমি ড্রাই হেডসহ ৩ মি.মি. ট্রিমারের সাথে ডাবল একশন নাইফ সংযুক্ত। এসব কারণেই এটাতে খুব দ্রুত অনেক কাজ করা যায় আবার বিদ্যুৎ খরচও কমিয়ে দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৭
এমএএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।