ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৭
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই স্বর্ণ

ঢাকা: স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

মঙ্গলবার (০৬ জুন) আপন জুয়েলার্সের গ্রাহকদের স্বর্ণ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে এ কথা জানান।

মইনুল খান বলেন, ব্যবসায়ীরা সবাই অবৈধ ব্যবসা করছেন সেটি বলা যাবে না।

অনেকে সুনামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। স্বর্ণ ব্যবসা আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে।  ড. মইনুল খান

তবে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে এবং অনুসন্ধানে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে রুটিন অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি। এ ধরনের অভিযানে শুল্ক গোয়েন্দা ধারাবাহিকতা রাখবে, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তদন্তের প্রয়োজনেই আপন জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়েছে। গত ৪ জুন চোরাচালানের দায়ে প্রায় ১৫.১৩ মণ স্বর্ণসহ হীরা জব্দ হয়েছে। আটক দ্রব্যের মূল্য মোট ২৮৪ কোটি টাকা।

ব্যবসায়ীদের নিয়ে একত্রে কাজ হচ্ছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, আমরা চাই না, কোনো ব্যবসায়ী হয়রানির শিকার হোন। সব ব্যবসায়ীর সহযোগিতা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। কিন্তু সম্প্রতি আপন জুয়েলার্সের স্বর্ণ জব্দ নিয়ে একটি মহল শুল্ক গোয়েন্দার কার্যক্রম নিয়ে অকারণে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। শুল্ক গোয়েন্দা যা করছে এটা তাদের রুটিন মাফিক কাজ। এখানে হয়রানি কিংবা ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

সোনা চোরাচালানের ব্যাপারে সবসময় জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে প্রতিনিয়ত সোনা চোরাচালানিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা মনে করি, সবার সহযোগিতায় স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।

আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুম থেকে জব্দ করা সোনা গ্রাহকের কাছে হস্তান্তরে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে আছেন, যুগ্ম কমিশনার সাফিউর রহমান, উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন, উপপরিচালক এস এম শরিফুল হাসান এবং বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) একজন ও আপন জুয়েলার্সের একজন প্রতিনিধি।

এই কমিটি গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে গ্রাহকদের স্বার্থ কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় সে বিষয়ে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে মতামত দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৭
এসজে/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।