ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

কয়সরের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৬
কয়সরের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী

ক্রোকারিজ পণ্য রফতানির আড়ালে অবৈধ অস্ত্র, হুন্ডি ব্যবসা ও জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেটের ব্যবসায়ী কয়সর আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। 

ঢাকা: ক্রোকারিজ পণ্য রফতানির আড়ালে অবৈধ অস্ত্র, হুন্ডি ব্যবসা ও জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেটের ব্যবসায়ী কয়সর আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে আইন-শৃংখলা বাহিনী।  
 
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্টস ইউনিটের (বিএফআইইউ) তৈরি করা এক অনুসন্ধানী তদন্ত প্রতিবেদন সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে পাঠানো হয়েছে।

 
 
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার ১১নং দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিআইপি কয়সর আহমদ। সাফল্যের কারণে সরকার তাকে ২০০৯ সালে অনাবাসি বাংলাদেশি (এনআরবি) হিসেবে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।  
 
কয়সরের মালিকানাধীন সিলেটের বিসিক শিল্পনগরী খাদিমনগরে দ্য ব্রিটিশ গ্যাস কুকার কোম্পানি বাই সিলেট ওয়েল্ডিংয়ে উৎপাদিত বার্নার কুকার ফ্রেম, স্টক পট কুকার ফ্রেম, এমএস শিট বক্স, সিআই বার্নার, তান্দুর ওভেন, বারবিকিউ কুকার ফ্রেম ব্রিটেনে রফতানি করে আসছে।  
 
এই কোম্পানির উ‍ৎপাদিত পণ্য রফতানি আয়ের অর্থ তার ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে কয়সর আহমদের হিসাবে জাহেদ আহমেদ, নুরুল ইসলাম, মাহি খান, মনিরুল হক, আমিরুল ইসলাম, বশির উদ্দিন ও মজনু মিয়াহ লেনদেন করে থাকেন।  
 
তাদের এসব লেনদেন নিয়ে সম্প্রতি ক্রোকারিজ পণ্য রফতানির আড়ালে অবৈধ অস্ত্র, হুন্ডি ব্যবসা ও জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্টস ইউনিট (বিএফআইইউ) বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে কয়সর আহমেদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সংগ্রহ করে।  
 
এসব তথ্যের আলোকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের কাছে পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।  
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্টস ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, কয়সর আহমদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।  
 
তিনি বলেন, আরও অধিকতর তদন্ত ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের কপি সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে। কয়সর আহমদের ব্যাংক হিসাবগুলোতে যারা লেনদেন করেন তাদের আয়ের উৎস ও ব্যয় সর্ম্পকে কিছু জানা যায়নি। তাই বিষয়টি নিয়ে আরও খোঁজ নেওয়া প্রয়োজন।  
 
এ বিষয়ে কয়সর আহমদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে তার কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. জাহেদ আহমদের মোবাইলে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০২১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬
এসই/এসএনএস


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।