ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

শ্রীলংকায় জেইসি সভায় তোফায়েল 

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৬
শ্রীলংকায় জেইসি সভায় তোফায়েল 

বাংলাদেশ-শ্রীলংকা জয়েন্ট ইকনোমিক কমিশনের (জেইসি) দু’দিনব্যাপী পঞ্চম সভায় যোগ দিতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এখন শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোয়।

ঢাকা: বাংলাদেশ-শ্রীলংকা জয়েন্ট ইকনোমিক কমিশনের (জেইসি) দু’দিনব্যাপী পঞ্চম সভায় যোগ দিতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এখন শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোয়।

বাংলাদেশের সরকারি ও ব্যবসায়ী মিলে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

সোমবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধায় তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে এ বৈঠক।  

মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন- সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।
 
সভায় যোগদানের পাশাপাশি বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা সভায় যোগদান করবেন। এছাড়াও তিনি শ্রীলংকার অর্থমন্ত্রী এবং শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।  
 
প্রতিনিধিদলে ছয় সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলও রয়েছেন। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন- বিজিএমই’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু, মেট্রোপলিটন চেম্বার কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, এফবিসিসিআই’র প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশীদ এবং এফবিসিসিআই’র পরিচালক শেখ ফাহিম।
 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলংকার প্রায় ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাণিজ্য হচ্ছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে বাংলাদেশ শ্রীলংকা থেকে আমদানি করেছে ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং একই সময়ে রপ্তানি করেছে ৩০.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।  

বাংলাদেশের ঘাটতি বাণিজ্য ১৪.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। শ্রীলংকার বাজারে তৈরি পোশাক, ওষুধ, বৈদ্যুতিক সামগ্রী, পাটজাত পণ্যসহ বেশকিছু বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। শ্রীলংকার বাজারে শুল্কমুক্তসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সুবিধা দেওয়া হলে রফতানি অনেক বাড়বে।
 
২০১২ সালের ৭-৮ মার্চ ঢাকায় বাংলাদেশ-শ্রীলংকা জয়েন্ট ইকনোমিক কমিশনের ৪র্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
এসএস/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।