ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

‘গ্রামীণফোন স্বপ্ন দেখালো তোমাদের, তোমরা বিশ্বকে দেখাও’ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৬
 ‘গ্রামীণফোন স্বপ্ন দেখালো তোমাদের, তোমরা বিশ্বকে দেখাও’  ছবি: শাকিল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তরুণদের উদ্দেশ্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, গ্রামীণফোন তোমাদের জীবন বদলানোর স্বপ্ন দেখিয়েছে। এখন তোমরা বদলে দেওয়ার এ স্বপ্ন দেখাও দেশকে, পুরো বিশ্বকে।

যে স্বপ্ন তোমাদের শীর্ষে নিয়ে যায়।  
 
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  

‘টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে’র চতুর্থ সংস্করণ নরওয়ের বৈশিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গ্রামীণফোন।  

তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আনিসুল হক বলেন, তোমার‍া কখনও থামবে না। হাঁটতে হবে, কেননা জীবন ম্যারাথন দৌড়ের মতো। জীবনের রাস্তা ক্রিকেট পিচের মতো, তবে এই পিচের শুরু ও শেষ নেই। তখনই থামবে যখন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কিছু অর্জন করতে পারবে।
 
‘স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে হাঁটতে হয়। তোম‍াদের আজ গ্রামীণফোন স্বপ্ন দেখালো। তোমরা যে উপস্থপনা, যে স্বপ্ন দেখালে তাতে আমার মনে হয়, তোমরা আনিসুল হকের মতো নয়, আরও অনেক বড় হবে। ’
  
প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক মনোনীত সাত তরুণ-তরুণীর মধ্য থেকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যে দু’জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। তারা হলেন-  রাফসান শাবাব খান ও রামিম আহমেদ।

 
বাকিরা পাঁচ প্রতিযোগী হলেন- নুসরাত ফারজানা, মায়া মো খাইং, ফারহান ফ‍ুয়াদ অরজিন, সাবরিনা রহমান, রহীম আহমেদ ও সামিদ রাজ্জাক।  

অনুষ্ঠানে তাদের অংশগ্রহণকারীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন মেয়র আনিসুল হক।

অসলোতে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক সম্মেলনে জীবন বদলের ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন এই দুই বাংলাদেশি প্রতিযোগী।  

নোবেল পিস সেন্টারের সহযোগিতায় আয়োজিত ওই সম্মেলনে অংশ নেবেন বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে ১৮ থেকে ২৮ বছরের তরুণ-তরুণীরা।  
 
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস নেহাল আহমেদ বলেন, অল্প কয়েক বছরের মধ্যে টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম তরুণদের জন্য একটি সম্মানজনক বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে ডিজিটাল প্রযুক্তির পূর্ণ সক্ষমতা প্রকাশেও তাদের অনুপ্রাণিত করছে।
 
তিনি বলেন, ‘আজকের বিজয়ীরা বিশ্বের অন্যান্য স্থানের বিজয়ীদের সঙ্গে অসলোতে তিনদিনের সম্মেলনে মিলিত হবে। যেখানে তারা মোবাইল ও ডিজিটাল প্রযুক্তির রূপান্তরের ক্ষমতাকে বোঝার এবং তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। ’

‘একই সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ারও সুযোগ পাবেন তারা,’ যোগ করেন নেহাল আহমেদ।  
 
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি বছরের জুলাইয়েেএ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের ধারণা পত্র জমা দেন। সেখান থেকে বাছাই করে এই সাতজনকে মনোনীত করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০১২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৬
এসএমএ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।