ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

সিত্রাংয়ের সময় ও স্থান জানালো কলকাতা আবহাওয়া দফতর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
সিত্রাংয়ের সময় ও স্থান জানালো কলকাতা আবহাওয়া দফতর সিত্রাংয়ের প্রভাবে রোববার কলকাতার আকাশ ছিল কালো মেঘে ঢাকা

কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত): ক্রমেই চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। সময় যত এগোচ্ছে, ততই নিম্নচাপ গভীর হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে।

সেই মতো আবহাওয়াতেও পরিবর্তন আসছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) কলকাতার আকাশে সূর্যের দেখা মিললেও ছিল মেঘের আসর। এদিন শহরে আলোর উৎসবের মধ্যেই ছিল বৃষ্টির সতর্কতা। আর সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি।  

দিল্লির মৌসুম ভবন জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম-মধ্য এবং পূর্ব-মধ্য অঞ্চলে অবস্থান করছিল গভীর নিম্নচাপটি। তারপর তা ক্রমেই উত্তরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। শেষ ছয় ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার গতিবেগে উত্তরের দিকে এগিয়েছে গভীর নিম্নচাপটি। তারপর পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নামে।

প্রসঙ্গত, সিত্রাং নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড।   পোর্টব্লেয়ার থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে, সাগরদ্বীপ থেকে ৫৮০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের বরিশাল থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি।  

এদিকে কলকাতার আলীপুর আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ রোববার পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভারতে কালীপূজার দিন তা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তবে কলকাতায় বৃষ্টি ছাড়া এর প্রভাব তেমন পড়বে না। পড়বে বাংলাদেশে। বর্তমান গতিপথ ঠিক থাকলে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বরিশালের কাছে তিনকোণা দ্বীপ এবং চট্টগ্রামের সন্দীপের মধ্য দিয়ে আছড়ে পড়বে বাংলাদেশ উপকূলে।
তারা আরও জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বেশি পড়বে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকাতেও। সোমবার থেকে উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। এর জেরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হতে পারে ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত। পূর্ব মেদিনীপুর ও সংলগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। মাঝারি মাপের বৃষ্টি হবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলী এবং পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলোয়।

রোববার কলকাতায় সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা। সকালে মনোরম আবহাওয়া থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়ে। এদিন সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সোমবার (২৪ অক্টোবর) থেকে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ পুরোপুরি মেঘলা থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে কালীপূজোর দিনেই। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সোমবার দুপুরের পর থেকে বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত থাকবে বলেই জানিয়েছে কলকাতা আবহাওয়া দফতর।

এর জেরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হওয়া বইবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ৮৫ থেকে ১০৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
ভিএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।