ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

বাংলার মিষ্টি আর বাংলাদেশের ইলিশে ইন্দো-বাংলার অনুষ্ঠান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
বাংলার মিষ্টি আর বাংলাদেশের ইলিশে ইন্দো-বাংলার অনুষ্ঠান

কলকাতা: শারদীয়ার সূচনা লগ্নে উৎসবে মাতলো কলকাতায় অবস্থিত ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব। ‘বাংলার মিষ্টি আর বাংলাদেশের ইলিশ’ শিরোনামে সদস্যদের নিয়ে শনিবার (১৭ সেপ্টম্বর) ঘরোয়া একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগঠনটি।

অনুষ্ঠানে ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের প্রত্যেক সদস্যের হাতে তুলে দেওয়া হয় জগদ্বিখ্যাত বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশ এবং কলকাতার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি রসগোল্লা। শারদীয়ার আগে এরকম একটি অনুষ্ঠান হওয়ায় আপ্লুত বাংলাদেশ গণমাধ্যমের ভারতীয় প্রতিনিধিরা।

‘ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব’ এর মুখপাত্র দীপক দেবনাথ বলেন, একে অপরের পাশে থাকাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আর কিছুদিন বাদে কলকাতাবাসী দুর্গোৎসবে মাতবে। আমরা চাই এই উৎসবের দিনগুলি সকলের কাছে আনন্দময় এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠুক। আর সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই ছোট প্রয়াস।

অনুষ্ঠানে প্রত্যেক সদস্য নিজেদের মতো করে মতবিনিয় করেন। সেখানে উঠে আসে নানান প্রসঙ্গ। অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গে শারদীয়ার উপহার হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের ইলিশ পাঠানোর প্রসঙ্গও উঠে আসে। পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে বাংলাদেশের ইলিশ চিরকাল আকর্ষণীয় বিষয়। কিন্তু, ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে কলকাতার বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ আমদানি কার্যত বন্ধ ছিল। ফলে পদ্মার ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল বঙ্গবাসী। তবে গত চার বছর ধরে শারদীয়ার উপহার হিসাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের ইলিশ আসছে পশ্চিমবাংলায়। প্রেসক্লাবের সকল সদস্যই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে স্বাগত ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।



এর পাশাপাশি মতবিনিময়ে উঠে আসে কীভাবে বাংলাদেশ-ভারত বিশেষত দুই বাংলার সুসম্পর্ক বজায় থাকবে এবং বাংলাদেশি সাংবাদিকরা যদি কলকাতায় সমস্যায় পড়ে তাহলে ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব কীভাবে তাদের পাশে থাকবে।

গত ১৪ মার্চ কলকাতার মাটিতে আত্মপ্রকাশ করে ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু করে ২৪ আগস্ট। সেদিনই বাংলাদেশ গণমাধ্যমের প্রত্যেক কলকাতা প্রতিনিধি সদস্য পদ নেন। ইতোমধ্যেই এই প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে উৎসাহের বার্তা এসেছে আসাম, ত্রিপুরা এবং দিল্লি থেকেও। পাশাপাশি সদস্য হতে উৎসাহ দেখাচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও।

প্রেসক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও বিদেশি গণমাধ্যমে কর্মরত ভারতীয় প্রতিনিধি (নাগরিক) তারা পাবেন সাধারণ সদস্য পদ এবং যারা বাংলাদেশি এবং বিদেশি নাগরিক সাংবাদিকদের দেওয়া হবে সাম্মানিক সদস্যপদ। তবে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের সাথে ন্যূনতম তিন বছর যুক্ত থাকতে হবে।

প্রেসক্লাবের মুখপাত্র জানান, অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাতে আমরাও উৎসাহ বোধ করছি। ভারত এবং বাংলাদেশের সাংবাদিকদের মধ্যে সমন্বয় রেখে খুব শিগগিরই ওয়েবসাইট চালু করা হচ্ছে। যেখানে ক্লাবের কার্যকলাপ, তথ্য এবং কীভাবে সদস্যপদ সংগ্রহ করা যাবে, সে বিষয়ে বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই সমস্ত বিবরণ দেওয়া থাকবে।

অনুষ্ঠান শেষে একে অপরকে মিষ্টি মুখ করান ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ১৭, ২০২২
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।