ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

ভারত চেম্বারে হচ্ছে বাংলাদেশ বাণিজ্য ডেস্ক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
ভারত চেম্বারে হচ্ছে বাংলাদেশ বাণিজ্য ডেস্ক

কলকাতা: ৮ দিনের সফরে ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাতজন সরকারি কর্মকর্তা ও পশ্চিমবঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ভারত চেম্বার অব কমার্সে আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া বাংলাদেশ: নি¬উ হরাইজন অব ট্রেড অ্যান্ড বাইলেটারাল রিলেশনস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টিপু মুনশি।

অনুষ্ঠানে ভারত চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এনজি খৈতান বলেন, এক সময় গরিব দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। আজ তাদের আয় প্রায় ভারতের সমান। বাংলাদেশের এই উন্নতিতে পশ্চিমবঙ্গ গর্ববোধ করে। সে কারণে আমরা চাই, ব্যবসায়িক দিকে থেকে বাংলা এক হোক। আর এ ক্ষেত্রে বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স এবং ভারত চেম্বার অব কমার্সকে একসাথে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে তৈরি হোক ভারত ডেস্ক, একইভাবে কলকাতার ভারত চেম্বার অব কমার্সে হোক বাংলাদেশ ডেস্ক। এদের কাজ হবে ব্যবসায়ীদের গাইড এবং সহযোগিতা করা। কারণ, আমরা মনে করি একহাতে বাঙালি আর বেশিদিন ব্যবসা করতে পারবে না। বাঙালিদের এক হতে হবে।

খৈতানের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাঙালিদের এগিয়ে আসতেই হবে। এ বিষয়ে ভারতকে হাত মুঠো করে রাখলে হবে না, হাতটা খুলতে হবে এবং এগিয়ে আসতে হবে।

এরপরই টিপু মুনশির কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্হে দেখা হলো, কী আলোচনা হয়েছে। উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বর্ডারে হাট আছে, শুধু পশ্চিমবঙ্গের সাথেই নেই। আমরা চাই এ রাজ্যে সীমান্ত হাট করতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। তিনি লালমনিরহাটের হাটের ভুরঙ্গামারির প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। আমরাও জায়গাটা দেখেছি।

জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের আর ৪ জায়গায় খুব শিগগিরই বর্ডার হাট হতে চলেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশসহ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশকে ভারত সরকার তাদের দেশে বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করে রেখেছে। এই সমস্ত দেশের প্রস্তাব তারা গ্রহণ করছে না। তবে যেটা শুনেছি, কেউ যদি বাংলাদেশ থেকে ভারতে বিনিয়োগ করতে চায় তা ‘কেস টু কেস’ পর্যালোচনা করবে। আমরা এখানে বিনিয়োগ করতে চাই। কারণ বাংলাদেশ সরকার সুযোগ করে দিয়েছে, যে সমস্ত সম্ভাবনাময় ব্যবসায়ী আছেন তারা যদি বিদেশে গিয়ে ব্যবসা করতে চান, করতে পারেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, গ্লোবাল ট্রেড সাব-কমিটি ভারত চেম্বার অব কমার্সের মেন্টর সীতারাম শর্মা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।