ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

আগরতলায় শুরু ভারত-বাংলা পর্যটন উৎসব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
আগরতলায় শুরু ভারত-বাংলা পর্যটন উৎসব

আগরতলা (ত্রিপুরা): আগরতলায় শুরু হলো দ্বিতীয় ভারত-বাংলা পর্যটন উৎসব- ২০২২। রোববার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদের সামনে তিন দিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হয়।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ, ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন ও পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজীত সিংহ রায়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ সংসদ সদস্য ড. আব্দুস শহীদ, আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহম্মদ, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদারসহ ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের কর্মকর্তারা।


উপ-মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ বলেন, ত্রিপুরার সঙ্গে সর্বদিক দিয়ে বাংলাদেশের একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সাংস্কৃতিক কিংবা সংগীত ছাড়াও ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মানুষের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমান সরকার ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে চায়। ত্রিপুরাতে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অনেক জায়গা রয়েছে।

এই প্রসঙ্গে ছবিমুড়া, জম্পুই হিলসহ রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী।


যীষ্ণু দেববর্মণ বলেন, ভৌগলিক দিক দিয়েই নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে ত্রিপুরার। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার জনসাধারণের বিশাল ভূমিকা ছিল। এই রাজ্য ছোট হলেও মানুষের মনটা বিশাল।  

আগামীতেও ত্রিপুরায় বাংলাদেশের মানুষকে সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।


ত্রিপুরায় শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরও গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।

আব্দুস শহীদ বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষের সার্বিক সহায়তার কথা কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ পর্যটন উৎসবের মধ্য দিয়ে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে। এই উৎসব দু'দেশের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করবে।

ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায় বলেন, বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের অর্থনীতি পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভর করে চলছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে ত্রিপুরাতে নারকেলকুঞ্জ একটি অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হতে চলেছে। ইতোমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সেখানে হ্যালিপেডের উদ্বোধন হয়েছে। এর পাশাপাশি আগামীতে সারুমের ফেনী নদীর ব্রিজ বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার সংযুক্তি করতে চলেছে। এর মধ্য দিয়ে দু'দেশের মধ্যে ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে।  

তিনি জানান, এতে শুধু ত্রিপুরা নয় বাংলাদেশও লাভবান হবে। এছাড়া দাউদকান্দি দিয়ে ত্রিপুরার সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে বাংলাদেশ। আখাউড়া নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত দিয়েও দু'দেশের মধ্যে রেল পরিষেবার সংযোগ হতে চলেছে।

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে এই অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
এসসিএন/এমইউএম/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।