ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

চলে গেলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক দেবেশ রায়

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৮ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
চলে গেলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক দেবেশ রায় দেবেশ রায়

কলকাতা: বিখ্যাত সাহিত্যিক দেবেশ রায় আর নেই। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দিনগত রাত ১০টা বেজে ৫০ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিলো ৮৪ বছর।

উত্তর শহরতলির বাগুইআটির বাসিন্দা ছিলেন দেবেশ রায়। বুধবার তাকে তেঘরিয়া এলাকার উমা নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়েছিলো।

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।  
 
বাংলা সাহিত্যের এই প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে উত্তরবঙ্গে। সেই সূত্রেই লিখেছিলেন তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত।

১৯৮৮ সালে লেখা তার এই উপন্যাস ছকে ফেলা সাহিত্যের সীমারেখা ভেঙে ফেলেছিলো। এই উপন্যাসের সৌজন্যেই ১৯৯০ সালে তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন।

১৯৭৯ সাল থেকে পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দেবেশ রায়। আহ্নিক গতি ও মাঝখানের দরজা’, ‘দুপুর’, ‘পা’, ‘কলকাতা ও গোপাল’, ‘পশ্চাৎভূমি’, ‘ইচ্ছামতী’, ‘নিরস্ত্রীকরণ কেন’, ও ‘উদ্বাস্তু’ এই আটটি গল্প নিয়ে দেবেশ রায়ের প্রথম গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছিলো। তার প্রথম উপন্যাস যযাতি।

তার লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো- মানুষ খুন করে কেন (১৯৭৬), মফস্বলী বৃত্তান্ত (১৯৮০), সময় অসময়ের বৃত্তান্ত (১৯৯৩), তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত (১৯৮৮), লগন গান্ধার (১৯৯৫) ইত্যাদি।  

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন সাহিত্যিক দেবেশ রায়। সেই সূত্রেই নিবিড় যোগাযোগ স্থাপিত হয় উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সঙ্গে। রপ্ত করেছিলেন রাজবংশী ভাষা। কলকাতা শহরে ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ওতপ্রতোভাবে। শ্রমিকদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল দেবেশ বাবুর।

বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।