ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ত্রিপুরায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডব, চার জেলের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
ত্রিপুরায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডব, চার জেলের মৃত্যু

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে মৃত্যু হয়েছে চার জেলের।

 

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যের বেশ কিছু জেলার ওপর দিয়ে প্রবল বেগে এ ঝড় বয়ে যায়।  

ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে ত্রিপুরা ধলাই জেলার গন্ডাছড়া এলাকায়। সেখানে রাতে ডুম্বুর জলাশয়ে মাছ শিকারে বের হওয়া জেলেদের নৌকা ডুবে যায়।  

এলাকার জেলেরা জানান, রাতে ঝড়ের সময় জেলেরা যে যার মত করে নিরাপদ স্থানে চলে যান। এদের মধ্যে চারজন জেলে জলাশয়ের মাঝে ভাসমান ঘরে আশ্রয় নেন। সকালবেলা অন্য জেলেরা বাড়ি ফিরে গেলেও তারা বাড়ি ফেরেননি। তখন অন্য জেলেদের সন্দেহ হয়, তারা খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। জলাশয়ে এসে দেখেন ভাসমান ঘরটির বেশির ভাগ অংশ ডুবে গেছে। তখন তারা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে খবর দেন এবং নিজেরাই ঘরটিকে টেনে কিনারে নিয়ে আসেন। বহু খোঁজাখুঁজির পর রোববার (২৪ মার্চ) হরি দাস (৪৫) নামে এক জেলের মরদেহ উদ্ধার হয়।  

ধারণা করা হচ্ছে বাকিরা জলাশয়ের নিচে তলিয়ে গিয়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এরা হলেন প্রদীপ দাস (৪৬), জোতিষ মল্লিক (৫০) ও সঞ্জিত নন্দী (৫৩)।

ডুম্বুর জলাশয়ের এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা। এই বিষয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ডম্বুর জলাশয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে একটি দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনায় চারজন মৎসজীবী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত। প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যেই তাদের একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি তিনজনের খোঁজ চলছে। আমি নিহত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। রাজ্য সরকার এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাদের পরিবারের পাশে রয়েছে।

এদিকে ঝড়ে রাজধানী আগরতলার ইন্দ্রনগর চৌধুরী টিলা এলাকায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুতের পিলারসহ তার ছিঁড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। উড়িয়ে নিয়েছে বহু কাঁচা ঘরও। ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যাহত হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ।

মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, গতকাল রাতে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিতে সিপাহীজলা জেলা, দক্ষিণ জেলা, খোয়াই জেলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে হওয়া ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আমি অবহিত রয়েছি। এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জনগণের পাশে রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
এসসিএন/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।