ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে বান্দরবানে সভা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে বান্দরবানে সভা

বান্দরবান: যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করার লক্ষ্যে বান্দরবানে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) বান্দরবান জেলা শাখার আয়োজনে বান্দরবানের কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির (নাটাব) আঞ্চলিক কো-অডিনেটর হেলাল খন্দকারের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় সমিতির বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোমেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হক।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো.আলমগীর, ডা. আবদুল হক সজীব।

সভায় কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত থেকে এই সভায় অংশ নেন।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির (নাটাব) আঞ্চলিক কো-অডিনেটর হেলাল খন্দকার বলেন, যক্ষ্মা একটি প্রাচীন ঘাতকব্যাধি, প্রতিবছর বহু লোক এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। আগে এই রোগের চিকিৎসা ছিল না, কিন্তু বর্তমানে যক্ষ্মার চিকিৎসা ও ওষুধ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।  

এসময় তিনি আরও বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে নাটাব ১৯৪৮ সাল থেকে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। নাটাব যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় তিনি বলেন, নাটাব সরকারের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অংশীদার হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসা সর্ম্পকে সচেতন করে তোলা এবং তাদের চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সুশীল সমাজকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে, এসব কর্মসূচির মধ্যে অ্যাডভোকেসি সভা, বার্ষিক যক্ষ্মা সম্মেলন, র‌্যালি ও আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উদযাপন, ওয়ার্কশপ, রোগীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ অন্যতম।  

বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আলমগীর বলেন, এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কারো কাশি আর জ্বর দেখা দিলে আতংকিত না হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করলে বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে যক্ষ্মা রোগের পরীক্ষা করা যায়। পরীক্ষা শেষে যক্ষা রোগ শনাক্ত হলে বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ গ্রহণ করে নিয়মিত সেবন করলে এই রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।

এ সময় তিনি সবাইকে সচেতন থাকা এবং রোগব্যাধি দেখা দিলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান।

সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোমেন চৌধুরী বলেন, যক্ষ্মা একটি ঘাতকব্যাধি, তবে এখন সময়ের পরিবর্তনে এই রোগের চিকিৎসা এবং ওষুধ রয়েছে আর সঠিক চিকিসা ও নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে এই রোগ সহজেই সেরে যায়।  

তিনি আরও বলেন, কারো এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কাশি, খাবারে অরুচি, পিঠের হাড় বাঁকা, গলায় বা শরীরে যেকোনো জায়গায় গুটি, বুকে অথবা পিঠের ওপরের অংশে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতাবোধের লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে যক্ষ্মা পরীক্ষা করাতে হবে আর পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিনামূল্যে ওষুধ সংগ্রহ করে খেতে হবে।  

নাটাব বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোমেন চৌধুরী বান্দরবানের কোথাও কারে যক্ষ্মা রোগেরে লক্ষণ দেখা দিলে তার সাথে যোগাযোগ করা এবং বিনামূল্যে পরীক্ষা ও ওষুধ গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।