ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

স্তন ক্যানসারে দেশে বছরে ৬৭০০ জনের মৃত্যু হয় 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
স্তন ক্যানসারে দেশে বছরে ৬৭০০ জনের মৃত্যু হয় 

ঢাকা: স্তন ক্যানসারে দেশে প্রতি বছর ছয় হাজার ৭০০ নারীর মৃত্যু হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্তন ক্যান্সার বিষয়ক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের শ্রেণিকক্ষে ‘সিএমই অন ব্রেস্ট ইমেজিং অ্যান্ড ইন্টারভেনশন’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার- আইএআরসি’র হিসাবে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩ হাজারেরও বেশি নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। মৃত্যু হয় প্রায় ৬৭০০ জনের। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ১৯% ভোগেন স্তন ক্যানসারে। সচেতন হলে স্তন ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব। ঝুঁকিতে থাকা নারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, ২০ বছর বয়স থেকেই নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করা এবং ৩৫ বছররের ওপরের নারীরা ম্যামোগ্রাফিক স্ক্রিনিং করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে স্তন ক্যান্সার নিয়ে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন। এটি সম্ভবত খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রভাবও হতে পারে। এছাড়াও বর্তমানে সচেতনা ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং বাড়ার কারণে এ সমস্যাটি সবার সামনে আসছে। এক্ষেত্রে রেডিওলজি বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিংয়ের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীজানুর রহমান, এসএইচআইবিপিএস-এর রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান।
 
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাতেমা দোজা, এসএইচআইবিপিএস সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিদুরা তানিম, বারডেমের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফাহমিদা ইয়াসমিন, বিএসএমএমইউর রেডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারজানা আলম, ভারতের কোভাই মেডিকেল সেন্টার অ্যান্ড হসপিটালের (কেএমসিএইচ) রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের কনসাল্ট্যাসন্ট ডা. রুপা রাঙ্গানাথ।  

সাইকোলজিক্যাল প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাতিমা জোহরা।         

অনুষ্ঠানে প্যানেল অব এক্সপার্ট অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমাজিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন আল আযাদ, ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল বারী, মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলম, বার্ডেম হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এমএ তাহের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহারা হক জেরিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
আরকেআর/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।