ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
বোয়ালমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্বাস্থ্যসেবা,

ফরিদপুর: জনবল সংকটের কারণে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নের তিন লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।

এটি করা হয় ২০০৬ সালে। বর্তমানে ১০০ শয্যায় উন্নয়নের কাজ চলছে।

বিপুল এই জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার জন্য একমাত্র সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এছাড়া উপজেলার স্বল্প আয়ের মানুষের নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যসেবা নেওয়ার একমাত্র ঠিকানা। অথচ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনুমোদিত পদের বেশির ভাগই শূন্য থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন এখনো পরিলক্ষিত হয়নি।

এদিকে, অপারেশন থিয়েটার গত সাত বছর যাবত বন্ধ। ২০০৭ সালের ০৭ মে অপারেশন থিয়েটার চালুর পর ২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট এটি বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে আর চালু করা সম্ভব হয়নি। অপারেশন থিয়েটারে কার্যক্রম চালু করার জন্য অনুমোদিত পদের বেশির ভাগই শূন্য। গাইনি কনসালট্যান্ট, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), মেডিটেক রেডিওলোজির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য। আলট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র থাকলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তার সুফল মিলছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা।  

শুধু বোয়ালমারী নয়, পাশের আলফাডাঙ্গা, মধুখালী, কাশিয়ানী, সালথা উপজেলা থেকেও রোগী আসেন এ হাসপাতালে। অথচ চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীরা পাচ্ছেন না প্রত্যাশিত সেবা।  

চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিধান সাহা বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীরা যেমন প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনি চিকিৎসকদেরও সীমাবদ্ধতার মধ্যে যথার্থ সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খালেদুর রহমান মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নয়টি পদের মধ্যে আটটি পদই শূন্য। এছাড়া টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টের অর্ধেকের বেশির ভাগ পদ শূন্য। প্রধান অফিস সহকারীর পদ শূন্য। ওয়ার্ড বয় এবং পিয়ন নেই। আউটডোরে টিকিট দেওয়ার লোকও নেই। নেই চিকিৎসকের কোনো সহকারী (কম্পাউন্ডার)।  

তিনি বলেন, গাইনি ও সার্জারি বিশেষজ্ঞর অভাবে বর্তমানে সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এসব পদে চিকিৎসক পদায়ন করা হলে, আমরা অপারেশনের জন্য প্রস্তুত।  

ডা. খালেদ আক্ষেপ করে আরও বলেন, হাসপাতালে কর্মরত খণ্ডকালীন আটজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়ার বেতন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।