ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যৌন হয়রানি রোধে...

তানিয়া আফরিন, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১২
যৌন হয়রানি রোধে...

ঢাকা: যৌন হয়রানি একটি মানসিক ব্যাধি। এখন সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।

প্রতিদিনের প্রকাশিত সংবাদে চোখ রাখলে আমরা দেখতে পাই কোন না কোন বখাটেকে যৌন হয়রানের অপরাধে সাজা দেওয়া হচ্ছে। আবার এর প্রতিবাদ না করতে পেরে আত্মহত্যা কিংবা প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যাও করা হচ্ছে।

এখানে মনে রাখতে হবে পরিবারই শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র। সেখান থেকেই সচেতন করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ। যেন ওই শিশুটি যৌন হয়রানি না করে কিংবা যৌন হয়রানির সময় তীব্র প্রতিবাদ করতে পারে।

এজন্য মানসিক জোর সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ। যৌন হয়রানি রোধে নারীদের আত্মরক্ষার্থে ৫টি উপায় দেওয়া হলো....

সতর্ক থাকুন : দিনে রাতের যে কোন সময় যখন একা কোথাও যাবেন তখন সতর্ক থাকুন। চলার সময় চারপাশের মানুষ সম্পর্কে অন্য মনষ্ক থাকবেন না। সব জায়গাতে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের স্পিড ডায়াল লিস্টে সবসময় স্থানীয় পুলিশ, পরিবারের লোকজন কিংবা বন্ধুদের নাম্বর রাখুন। যাতে যে কোন বিপদে তাদেরকে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজটি দিতে পারেন।

প্রতিবাদ করুন : আমরা নারীরা বেশিরভাগ সময়ই অফিসে, স্কুল-কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা দৈনন্দিন চলাফেরার সময় বখাটেদের কটু কথা শুনেও চুপ করে চলে যাই। ফলে এসব বখাটেরা আরও সাহসী হয়ে ওঠে। তাদের কুরুচিপূর্ণ মনোভাব উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে।

তাই প্রতিবাদ করুন। মনে রাখবেন সমাজের আর দশটা মানুষ আপনার পক্ষে আছে। কখনও কখনও কৌশলে প্রতিবাদ করেও আপনি হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

শারীরিক ভাষা : আপনি আত্মবিশ্বাসী হোন। চলাফেরার সময় আত্মবিশ্বাসী দৃষ্টি এবং সুদৃঢ় পদক্ষেপই আপনার থেকে দূরে রাখবে বখাটেদের। পথে চলতে এরকম কাউকে সন্দেহ হলে আপনি সরাসরি তার চোখের দিকে তাকান। আপনার দৃষ্টি এবং আত্মবিশ্বাসই পারে বখাটেকে প্রতিহত করতে।

গণপরিবহন ব্যবহার : যত্রতত্র যাতায়াতের ক্ষেত্রে সাধারণত গণপরিবহন (পাবলিক ট্রান্সপের্ট) ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখবেন একা রিকশা, সিএনজি কিংবা ট্যাক্সিতে চলাফেরা করলে ওই ড্রাইভারদের কাছ থেকেও আপনি যৌন হয়রানির শিকার হতে পারেন। এমনকি স্কুলে কিংবা কলেজে যাওয়ার সময়ও একা না গিয়ে কয়েকজন মিলে চলাফেরা করুন। এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন যে, নিরিবিলি স্থান এবং একা চললে এ ধরণের হয়রানি বেশি হয়।

পোশাক পছন্দ : আপনার পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং চারপাশের অবস্থা অনুযায়ী পোশাক পছন্দ করুন। আর সেই ধরণের পোশাক পরেই বাইরে যান। এমন পোশাক পরবেন না যাতে অন্যের দৃষ্টি অযথাই অপনাকে অনুসরণ করে। মার্জিত এবং রুচিশীল পোশাকই পারে অপনার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে।

প্রকৃত পক্ষে সমাজের গুটিকয়েক মানুষ বখাটে। এটা তাদের মানসিক সমস্যাও বটে। তাই তাদের ভয়ে গুটিয়ে না থেকে আপনার আত্মবিশ্বাস এবং প্রতিবাদই পারে চলার পথকে সুগম করতে। আধুনিক নারী হিসেবে আপনার শক্ত অবস্থান এবং ব্যক্তিত্বই পারে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দিতে।

বাংলাদেশ সময় : ১১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।