ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রামেকে আইসোলেশন ইউনিট, প্রস্তুত সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
রামেকে আইসোলেশন ইউনিট, প্রস্তুত সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতাল

রাজশাহী: করোনা ভাইরাসের সতর্কতা হিসেবে আগাম প্রস্তুতি ও আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। 

এছাড়া আলাদাভাবে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য রাজধানীর কুর্মিটোলার মতো রাজশাহীর সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালকে ব্যবহার করা হবে। সেখানেও এরই মধ্য পাঁচ বেডের বিশেষ ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।

প্রয়োজন হলে পযার্য়ক্রমে ওই হাসপাতালের সবগুলো বেডই ব্যবহার করা হবে।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ নির্দেশনা মোতাবেক রামেক হাসপাতালে এইচডিইউ (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) সার্পোট যুক্ত আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। রামেক হাসপাতালের ইনডোরে থাকা ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চালু করা হয়েছে এই আইসোলেশন ইউনিট।

এছাড়া করোনা ভাইরাস বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকায় বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন- রামেক হাসপাতালের তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অনুসন্ধান বিভাগ সূত্র জানা গেছে, হাসপাতালের ইনডোরে থাকা ১৭ ও ১৮ এই দু’টি ওয়ার্ডে সাতটি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, রেজিস্ট্রার চিকিৎসক ও ইন্টার্নদের নিয়ে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

অদূর ভবিষ্যতে রাজধানী ঢাকা থেকে কেউ আসলে বা রাজশাহীতে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হলে তাকে রামেক হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট ও মহানগরীর লক্ষ্মীপুর সিটি বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

এর মধ্যে বেশি গুরুতর হলে রামেক হাসপাতালে এবং অল্প অসুস্থ হলে তাদের রাজশাহী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তাদের চিকিৎসায় ২৪ ঘণ্টাই দায়িত্ব পালন করবেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম।

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের  অধ্যাপক ডা. মাহাবুবুর রহমান খান বাদশা বলেন, এটি ভাইরাস জনিত রোগ। এখন সাধারণত- সর্দি, কাশিসহ অন্যান্য কারণে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। তবে বাংলাদেশে এ ভাইরাস নিয়ে তেমনভাবে আতঙ্কিত নন চিকিৎসকরা।

তিনি বলেন, সব ভাইরাসেরই একটি মৌসুম থাকে, মৌসুম শেষ হলে এর প্রকোপও কমে যায়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য নার্সরা যাতে আতঙ্কিত না হন, সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) এ করোনা ভাইরাস নিয়ে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামও রয়েছে।  

সেখানে ভাইরাসটি সম্পর্কে চিকিৎসক ও নার্সদের আরও সচেতন করা হবে বলেও জানান রামেক হাসপাতাল মেডিসিন বিভাগের এ অধ্যাপক।

তিনি বলেন, রাজশাহীর বেশকিছু শিক্ষার্থী বর্তমানে চীনে পড়াশোনা করছেন। তাদের মধ্যে উহানেও কিছু রয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। এ পরিস্থিতিতে তারা এখন চীন থেকে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছেন। সরকারও তাদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে। সেক্ষেত্রে চীন ফেরত শিক্ষার্থীরা রাজশাহীর নিজ বাড়িতে এলে তাদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।  

জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই তারা করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন। রামেক হাসপাতলে ভাইরাসজনিত রোগের কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই, তবে যা রয়েছে তা নিয়েই প্রাথমিক পরিস্থিতি মোকাবেলার সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছি।  

এছাড়া চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে বলে জানান ডা. সাইফুল ইসলাম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এসএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।