ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আব‍ারও স্কুলে যেতে চায় হাফিজুর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৭
আব‍ারও স্কুলে যেতে চায় হাফিজুর হাফিজুর-ছবি-বাংলানিউজ

লালমনিরহাট: পায়ের মাংস খুলে পড়ছে। খুলে পড়ছে পায়ের হাড়ও। দীর্ঘদিন বিছানায় থাকায় পিঠেও দেখা দিয়েছে দগদগে ঘাঁ। দুর্গন্ধে কেউ পাশে ভিড়তে পারছে না। হাসপাতালের ওয়ার্ডের মেঝেতে শুয়ে ব্যাথায় ছটফট করছে ৭ বছরের হাফিজুর।

অসুস্থ হাফিজুর লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বসিনটারী গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় ব্র্যাক শিশু নিকেতনে প্লে শ্রেণীর ছাত্র।

হাফিজুরের বাবা রবিউল বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ২০ দিন আগে বাম পায়ের গোড়ালিতে একটা ফোঁড়া দেখা দেয়। পরদিন তা ফেঁটে গিয়ে পা ফুলে যায়। এরপর এক পায়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে স্কুল যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে ডান পাও ভেঙে যায় হাফিজুরের। একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে রিকশাটি বিক্রি করে ছেলেকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন রবিউল। কয়েক দিনের চিকিৎসায় রিকশা বিক্রির টাকাও শেষ হয়ে যায়।

উন্নত চিকিৎসার জন্য হাফিজুরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন রবিউল। এরপর প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় হাফিজুরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অর্থোপেডিকস্ শিশু বিভাগের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন হাফিজুর।

চিকিৎসকরা জানান, হাফিজুরের পা বাঁচাতে হলে দ্রুত ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিতে হবে। দেরি হলে তাকে বাঁচানো অসম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  

হাফিজুরকে আবারও স্কুল পাঠাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন তার বাবা রবিউল।

হাফিজুরকে কেউ সাহায্য করতে চাইলে প্রতিবেশী মন্টু বকসী: ০১৭৬৫০৫৭৪৮৯ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।