ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আক্রমণের স্থানবদল করছে চিকুনগুনিয়া!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
আক্রমণের স্থানবদল করছে চিকুনগুনিয়া! চিকুনগুনিয়া!

ঢাকা: পুরোপুরি শেষ না হলেও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ অনেকটা কমে এসেছে। রাজধানী ঢাকাকে কাঁপিয়ে দেওয়া নতুন এই ভাইরাসটি এরই মধ্যে নিজেকে বদলে নিচ্ছে (আক্রমণের লক্ষ্যস্থল বদলাচ্ছে)বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রাজধানীর মগবাজারের আদ্-দ্বীন হাসপাতালের ফিজিওথেরাপিস্ট হিতৈষী চাকমা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, আগের তুলনায় আক্রান্তের হার অনেক কমে এসেছে। তবে ভাইরাসটি অনেকখানি বদলে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রথম দিকে যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের হাঁটু ও পায়ের গোড়লিতে প্রচণ্ড ব্যথা হতে দেখা গেছে। এরপর মাঝামাঝি সময়ে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পায়ের গোড়ালি, হাতের কব্জি এবং আঙুলের গোড়ায় ব্যথা করেছে।

প্রথম দিকে আক্রান্ত জায়গা ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যেতো না। কিন্তু মাঝামাঝি সময়ে যাদের ধরেছে, তাদের অনেকের আক্রান্ত স্থান ফুলে উঠতে দেখা গেছে| আর এখন যারা চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বুকে ব্যথা হচ্ছে। আবার অনেকের কাঁধেও প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে বলে জালেন হিতৈষী চাকমা।

মশাবাহিত নতুন এই ভাইরাসটি পুরো রাজধানীকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে গেছে। নগরীর দুই মেয়রকে সমালোচনায় তুলোধুনো করে ছেড়েছে জনগণ। বিতর্কিত কথা বলে বড় বেকায়দায় পড়েছিলেন উত্তরের মেয়র আনিসুল হক। শেষ পর্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করতে বাধ্য হন তিনি।

ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়া চিকুনগুনিয়ার আক্রমণে কেউ মারা গেছে এখন খবর পাওয়া যায় নি। তবে যাদের ধরেছে সবাইকে নাকানি চুবানি খাইয়ে ছেড়েছে। কেউ কেউ তিন মাস আগে আক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত  যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন।

বিশেষ করে যারা হাঁটু ও গোড়লিতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের অনেকেই এখনও ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। অনেকে বলেছেন, তারা ভালো হয়ে গিযেছিলেন। কিন্তু মাস খানেক পরে আবারও ব্যথা ‍অনুভব করছেন।

চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কমে গেলেও, নতুন করে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে রয়েছেন একাত্তর টিভির রিপোর্টার মোজাহেরুল হক রুমেন, নর্থওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পরিচালক(অর্থ) মুসফিকুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, চিকুনগুনিয়া প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে বলা চলে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যে হেল্প সেন্টার চালু রয়েছে, সেখানে সোমবার(২১ আগস্ট) মাত্র ৬ জন ফোন করে সহায়তা চেয়েছেন। আমরা এই জরুরি সেবাটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছি।

 

তবে চিকুনগুনিয়ার পরবর্তী সময়ে দুই মেয়রের মশক নিধন কার্যক্রম ছিলো চোখে পড়ার মতো। এর ফলে নগরবাসী বেশ কিছুদিন ছিলেন মশার উৎপাত থেকে অনেকখানি মুক্ত। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে আবার মশার উৎপাত বেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়:০৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৭
এসআই/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।