ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

অসংক্রামক ব্যাধিতে বছরে মারা যায় ৮ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
অসংক্রামক ব্যাধিতে বছরে মারা যায় ৮ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশ ষষ্ঠ হেলথ ওয়াচ এর রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা

ঢাকা: অসংক্রামক রোগে প্রতি বছর ৮ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে বলে উঠে এসেছে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের ষষ্ঠ রিপোর্টে। 

বৃহস্পতিবার (আগস্ট ১০) বিকাল সাড়ে চারটায় রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশ ষষ্ঠ হেলথ ওয়াচ এর এই রিপোর্ট প্রকাশ হয়।  

প্রতিবেদনে বলা হয় প্রতি বছর বাংলাদেশে নানা রোগে যত মানুষ মারা যান তার মধ্যে ৫৯ শতাংশই মারা যায় অসংক্রামক ব্যাধিতে।

এর সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৮৬ হাজার।

নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ৫ জনের মধ্যে চারজনের মৃত্যুই হয় অসংক্রামক ব্যাধিতে। অনেক দেশে এই সংক্রামক ব্যাধির কারণে উন্নয়নের গতি বাধাগ্রস্ত হয়। অর্থনৈতিকভাবেও দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশে অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে না পারলে ভবিষ্যতে সমস্যা আরো বাড়তে পারে। যেমন অসংক্রামক ব্যাধির সেবাকে প্রাথমিক রোগের সেবা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অন্যদিকে জাতীয় পর্যায়ের সমন্বয়হীনতার প্রভাব তো রয়েছেই। গ্রাম ও শহরের সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে অসংক্রামক রোগের জন্য কার্যকর তথ্য ভান্ডার নেই।

এ সব সমস্যা সমাধানে হেলথ ওয়াচ এর রিপোর্টে অসংক্রামক ব্যাধির সমস্যা নিরসনে কিছু সুপারিশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সচেতনতা বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন সেক্টরকে কেন্দ্র করে সমন্বিত পদ্ধতির প্রবর্তন করা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সকল পর্যায়ে শক্তিশালী করা, চারটি প্রধান অসংক্রামক রোগের জন্য নিবন্ধিকরন পদ্ধতি চালু করা, রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে প্রয়োজনীয় গবেষণা করা।

এছাড়া অসংক্রামক ব্যাধি নিরসনে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সরকারি পর্যায়ে নেয়া উচিত বলে মনে করছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ ডায়বেটিক সমিতির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এ কে আজাদ। তিনি বলেন, ‘টোবাকো শুড বি ব্যান্ড ইন আওয়ার কান্ট্রি। এই ধূমপানের কারণে নানা অসংক্রামক ব্যাধি হচ্ছে। কিন্তু দেশে তামাকজাত দ্রব্যের বড় ব্যবসা আছে, তাই এটি বন্ধ করা হচ্ছে না। এদিকে সরকারের নজর দেয়া উচিত। ’

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দেশে চিকিৎসা ব্যয় তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এখন মানুষ ভারতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, প্রতি বছর কিডনি ডায়লাসিসের কারণে ১ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন বিদেশে। তাতে খরচ হচ্ছে বছরে প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা। সরকারের ভুল নীতির কারণেই এমনটা হচ্ছে। দেশে বছরে মাত্র ১০ হাজার কিডনি দরকার। তা তো সাধারণ মানুষরাই দান করতে পারেন। কিন্তু যাতে বেচা কেনা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।  

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিএফআইডির ঢাকা অফিসের প্রধান জন এডমন্ডসন, নাহিম রাজ্জাক এমপি, সিডার এর বাংলাদেশের প্রধান আন্ডার্স ওসট্রোম ও ব্র্যাকের ভাইস চেয়ারপারসন ড. মোশতাক রাজা চৌধুরী।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
ইউএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।