ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ডায়াগনস্টিক ফি নির্ধারণে নেতৃত্বে কমিটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
ডায়াগনস্টিক ফি নির্ধারণে নেতৃত্বে কমিটি

ঢাকা: বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ডায়াগনস্টিক ফি নির্ধারণ, বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে সেবার মানোন্নয়নে সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) হাবিবুর রহমানকে মনোনীত করে বিএমএ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), বিএমডিসি, বাংলাদেশ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল মালিক সমিতির একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
 
আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটিকে সুপারিশ প্রদানের জন্য তিনি এসময় নির্দেশ দেন।


 
পাশাপাশি মানহীন ও অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
সচিবালয়ে বুধবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি এসব নির্দেশনা দেন। হাসপাতালগুলোর সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সভার আয়োজন করা হয়।
 
মন্ত্রী বলেন, সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের সহযোগী শক্তি হিসেবে বেসরকারি হাসপাতালগুলো কাজ করে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার মূল্য এবং সার্ভিস চার্জ অত্যধিক উচ্চহারে থাকায় দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগণের জন্য তা বহন করা দুঃসাধ্য। বড় বড় নামকরা হাসপাতাল ও মধ্যম সারির হাসপাতালের মধ্যেই এ মূল্যের পার্থক্য অনেক। এক্ষেত্রে সব বেসরকারি হাসপাতাল সমন্বিতভাবে স্বেচ্ছায় উদ্যোগী হয়ে দেশের অধিকাংশ মানুষের কথা বিবেচনা করে সহনীয় মাত্রার মধ্যে ফি নির্ধারণ করলে জনগণ উপকৃত হবে।
 
কোনো হাসপাতাল থেকে কোনো রোগী যেন আর্থিক কারণে চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত না যায় সেদিকে মানবিক দৃষ্টি রাখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। হাসপাতালগুলোতে সরকার নির্ধারিত ১০ শতাংশ শয্যা দরিদ্র ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ রাখার বিধান ক্লিনিকগুলোকে মানতে হবে। পাশাপাশি অবৈধ ও মানহীন হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানে সহায়তা করার জন্যেও মন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার বাজারে মান বজায় রাখতে না পারলে দুর্বল ক্লিনিকগুলো এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।
 
সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান, বিএমএ, বিএমডিসি নেতাসহ বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
 
সভায় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপকা ডা. কামরুল আহসান, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মকবুল হোসেন, বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিসিপিএস ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।