ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ব্যাপক সাড়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৬
ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ব্যাপক সাড়া ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব নির্মূল ও শিশুমৃত্যু প্রতিরোধের লক্ষ্যে দেশজুড়ে চলছে ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে এ ক্যাম্পেইনে।

‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে শনিবার (১৬ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে এ স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন। চলবে ১৯ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একযোগে সারাদেশের এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী এবং ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।

শনিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ‘ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের’ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সেখানে উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর গুলশান-বাড্ডাসহ সব এলাকায় শুরু হয় শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো। প্রথম দু’দিনে এসব এলাকার ক্যাম্পেইন কেন্দ্রগুলোতে দেখ‍া যায় শিশুদের সঙ্গে নিয়ে আসা অভিভাবকদের ভিড়।

শাহজাদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন আয়শা বেগম (২৭)। ছেলে রহমানকে (৮ মাস) নিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে এনেছেন তিনি।

আয়শা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সন্তানকে নিয়ে এসেছি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে। ভিটামিনের অভাবে শিশুদের অারও নানা প্রকারের ক্ষতি হতে পারে।

শাহজাদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন তানজীলা আক্তার (১৯)। তিনি বলেন, ছোট্ট ছোট্ট সোন‍ামণিদের হাসিমাখা মুখ দেখলে অনেক পরিশ্রমও উবে যায়।

দক্ষিণ বাড্ডার ভোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে কাজ করছিলেন শিউলী আক্তার (৩১) ও হাসিনা রহমান (২৪)। এখানে অভিভাবকদের ভিড় দেখা যায় চোখে পড়ার মতো। কাজ করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছিল।

শিউলী আক্তার বলেন, দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত একটু বেশিই ভিড় থাকে। একটু কষ্ট হলেও শিশু মৃত্যুর হার যদি কমে আসে তবেই আমাদের সার্থকতা।

এখানে সন্তান রাফানকে (২০ মাস) ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে এসেছেন আব্দুর রহীম (২৯)। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সন্তান যেন কোনো ধরনের রোগে আক্রান্ত না হয় তার জন্য বাবা-মাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। তাই একজন সচেতন বাবা হয়েই আমি আমার সন্তানকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়াতে নিয়ে এসেছি।

এবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মোট ৪ লাখ ২০ হাজার কর্মী এ ক্যাম্পেইন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনও ভিটামিনের অভাবের কারণে বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ৪৬ শিশুর মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৬
এসজে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।