ঢাকা: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা পিসিওএস নারীদের সাধারণ সমস্যার মধ্যে একটি। এর সূত্রপাত নারীদের ওভারিতে হওয়া ছোট সিস্টের মাধ্যমে।
এছাড়াও এটি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, পিরিয়ড ও গর্ভধারণে সমস্যা ছাড়াও চুল পড়ে যাওয়া, শরীরে অতিরিক্ত লোম গজানোসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি করে।
এর দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল হলো ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও জরায়ুর ক্যান্সার।
পলিসিস্টিক ওভারিতে সিস্ট আক্রান্ত হলে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
সবুজ পাতাযুক্ত সবজি

সবুজ পাতাযুক্ত সবজির প্রতি ক্যালরিতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। এগুলো উচ্চমানের লোহা, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর। আরও রয়েছে ভিটামিন কে, সি, ই ও বি। এসব ভিটামিনের মধ্যে বি ভিটামিন আলাদাভাবে পিসিওএস’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ভিটামিন শর্করা ও চর্বি বিপাকে সহায়তা করে, থাইরয়েড ফাংশন ও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। এক কথায়, পলিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য উৎকৃষ্ট হলো, ভিটামিন বি।
ফল

ফল ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। পিসিওএস রোগীদের ডায়েট মেন্যুতে পর্যাপ্ত ফল থাকা জরুরি। যেসব ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম সেসব ফল খেতে পারেন। যেমন- আম, আপেল, কলা, খেজুর, আঙুর, চেরি, পেয়ারা, লেবু, কমলা, নাশপাতি ইত্যাদি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ব্যক্তির ব্লাড সুগার লেভেলের ওপর প্রভাব ফেলে।
রঙিন সবজি

রঙিন ফলমূলে রয়েছে উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা পিসিওএস আক্রান্ত নারীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ, এ রোগে রোগীর মধ্যে প্রচুর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দেখা দেয়। অতিরিক্ত ফ্রি রেডিক্যালসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় এ শরীরবৃত্তীয় চাপ তৈরি হয়। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করতে প্রয়োজন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ রঙিন সবজি খাওয়া।
ভালো ফ্যাট

সব ফ্যাট ক্ষতিকারক নয়। ফ্যাটি এসিড কোষপ্রাচীরের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় উপাদান। যা পুষ্টিকে শরীরে প্রবেশ করায় ও টক্সিক উপাদানকে বাইরে বের করে দেয়। হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায়, সঠিক ওজন ও প্রজজন ক্ষমতা বাড়াতে এটি অত্যাবশ্যক। ভালো ফ্যাটের উৎস হচ্ছে- বাদাম, অলিভ অয়েল, ডিম, অ্যাভোকাডো, পিনাট বাটার ও মাছ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এসএমএন/এসএস