ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

খেয়েই ভালো রাখুন মন!

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫
খেয়েই ভালো রাখুন মন!

ঢাকা: সারাদিন কাজের পর শরীরের পাশাপাশি ক্লান্তি জমেছে মনেও। টিভির রিমোর্ট চাপতে চাপতে এই চ্যানেল থেকে ওই চ্যানেল।

নাহ, তাও ভালো লাগছে না!

কফি আর খবরের কাগজতো পুরোনো অভ্যেসে পরিণত হয়েছে। মনটাকে চাঙা করা প্রয়োজন। কিন্তু কিভাবে!

মন ভালো রাখতে যেমন বিনোদনের প্রয়োজনীয়তা অসীম, তেমনি প্রয়োজন মন ভালো করার উপযোগী কিছু খাবারও। নিত্য নতুন খাবারের স্বাদ নেওয়া অনেকেরই শখের আওতায়। তবে খেলে মন ভালো থাকে, কথাটা অজানা অনেকেরই।

হ্যাঁ, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে আপনার মন হয়ে উঠবে চাঙা। চলুন তবে পরিচিত হই সেসব খাবারের সঙ্গে।

শতমূলী

গবেষণায় দেখা গেছে, শতমূলীতে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মানসিক অবসাদ ও হতাশা দূর করে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা মানসিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক কাপ করে শতমূলী খেতে পারেন।

ওটমিল

সকাল বা বিকেলের নাস্তা হিসেবে ওটমিলের জুড়ি নেই। এটি ম্যাগনেসিয়ামের খুব ভালো উৎস, তাই দুশ্চিন্তা ও হতাশা দূর করতে ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় মেজাজ স্থির রাখতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। দুশ্চিন্তা এড়াতে দৈনিক ১/২ কাপ ওটমিল খাওয়া যেতে পারে।

আমন্ড

মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং স্থবিরতা ও অবসাদ দূর করতে আমন্ড খান। ম্যাগনেসিয়ামের উৎস হিসেবে আমন্ড একই সঙ্গে আপনার হৃদপিণ্ডকেও রাখবে সুরক্ষিত। দৈনিক ২৩ থেকে ২৫টি আমন্ড খান। নিজের মেজাজের পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারবেন।

ডার্ক চকলেট

চকলেট কার না প্রিয়! মন খারাপ হলে চকলেট খান অনেকেই। আর খাবে নাই বা কেন, চটজলদি মন ভালো হওয়ার এত সহজ উপায় থাকতে চিন্তা কি! আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে দুশ্চিন্তায় ভোগেন, তাহলে দৈনিক ১শ’ থেকে ২ শ’ গ্রাম ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কোকো ফ্লেভানলস সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট দ্রুত স্ট্রেস কমায়।
 
টমেটো

দৈনিক তিন থেকে চারটি টমেটো খেলে মন থাকবে চনমনে। এর লাইকোপিন উপাদান শরীরে নতুন কোষ তৈরির সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রেসও দূর করে।

ডিম

সকালের নাস্তায় ডিম তো চাইই চাই। নানা স্ন্যাকস তৈরিতেও লাগে ডিম। শরীরের সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে মানসিক অবসাদের সৃষ্টি হয়। ডিম সেরোটোনিন তৈরির ভালো উপাদান। এতে আরও রয়েছে ফলিক এসিড যা মুড বুস্টার হিসেবে কাজ করে।

মধু

মধু মানসিক প্রশান্তি দেয়। ট্রিপটোফেন, অ্যামিনো এসিডের ভালো উৎস মধু। এ ন্যাচারাল সুইটস ভালো নিদ্রার সঙ্গে সঙ্গে সেরোটোনিন হরমোনও তৈরি করে। এছাড়াও স্নায়ুতন্ত্রের শিথিলতা আনতেও এর জুড়ি নেই। দুধ, চা বা জুসে চিনির বদলে মধু দিয়ে খেতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।