ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ইনফ্লুয়েঞ্জায় চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৫
ইনফ্লুয়েঞ্জায় চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই! ছবি: দিপু / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সোয়াইন ফ্লু নিয়ে বাংলাদেশে চিন্তিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধও আছে বলে দাবি করেছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান।


 
রোববার (০৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেছেন।

ভারতে সোয়াইন ফ্লু’র সংক্রমণ ও আমাদের করণীয় শীর্ষক একটি সংবাদ সম্মেলন যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও এক স্বাস্থ্য বাংলাদেশ।  

সংবাদ সম্মেলনে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ড. আব্দুল মতিন, ‘এক স্বাস্থ্য বাংলাদেশ’ আন্দোলনের সমন্বয়ক ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ।

ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত ইনফ্লুয়েঞ্জার তিনটা কেস (রোগী) পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুজনই ভারত থেকে এসেছেন। বাংলাদেশের সীমান্তসহ ২৫টি স্পটে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগ শনাক্তে ডাক্তার ও স্ক্যানার দেওয়া আছে। এটা একটা সিজনাল ভাইরাস। আমাদের দেশে এর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ আছে।

তিনি বলেন, বাজারে ৩৫০ টাকায় এর ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক হাসাপাতালে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।

অনেকে মনে করেন, শীতকালে ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে শীতকালে এ রোগ হয়না। এপ্রিল থেকে জুলাই, এ সময়টাতে ইনফ্লুয়েঞ্জা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওষুধের পরিমাণও বৃদ্ধির কাজ চলছে।

পাখি, শুকর ও মানুষ থেকে এ রোগ ছাড়ায়। এ রোগের উপসর্গ- সর্দি, জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি। এর ঝুঁকিতে আছেন গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। এর ফলে ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা ও অ্যাজমার সংক্রমণ ঘটতে পারে।

সোয়াইন ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে করণীয়:
সোয়াইন ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগ প্রতিরোধে রোগীর হাঁচি-কাশির সময় রুমাল/গামছা/কাপড়/টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিতে হবে। দিনে কয়েকবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। যেখানে সেখানে থুথু না ফেলা যাবে না। জ্বর এবং সর্দি-কাশি দেখা দিলে বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়া উচিত। এ ছাড়া জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে কাছের হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।