ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ইবোলা ভাইরাস ঠেকাতে বন্দরে বন্দরে প্রতিরোধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৪
ইবোলা ভাইরাস ঠেকাতে বন্দরে বন্দরে প্রতিরোধ

ঢাকা: ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে একটি অ্যাকশন কমিটি গঠন করেছে সরকার। স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে এ কমিটি কাজ করবে।


 
ইবোলা প্রতিরোধে ৯০ দিনের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌ-বন্দরে ইবোলা প্রতিরোধে চিকিৎসক দল কাজ করবে।
 
রোববার সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
 
সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, লাইবেরিয়া, গিনি, নাইজেরিয়া ও সিয়েরালিওনে ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ৯০ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
 
প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাস আফ্রিকা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক সতর্কতা জারি করেছে। এই রোগে আক্রান্তদের মৃতের হার ৯০ শতাংশ।
 
স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি অ্যাকশন কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর, সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতর, আইইডিসিআর (রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), সিভিল এভিয়েশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি থাকবেন।
 
দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, স্থল ও নৌবন্দরে চিকিৎসক দল কাজ করবে।
 
এ দলেও স্বাস্থ্য অধিদফতর, আইইডিসিআর, ইমিগ্রেশনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধি থাকবেন বলে জানান মন্ত্রী।
 
চিকিৎসক দলের কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকি করবে স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে গঠিত অ্যাকশন কমিটি।
 
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন কমিটি কাজ শুরু করবে।

কাউকে ইবোলা আক্রান্ত মনে হলে চিকিৎসক দল তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পরীক্ষা করবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আক্রান্ত কেউ চিহ্নিত হলে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে আলাদা একটি কক্ষে চিকিৎসা দেওয়া হবে। সেখানে ২০ শয্যা বিশিষ্ট একটি কক্ষ প্রস্তুত রাখা হবে।
 
মন্ত্রী বলেন, ইবোলা আক্রান্ত চারটি দেশ থেকে কেউ আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দেশ ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে বলা হয়েছে। যেভাবেই হোক আক্রান্ত কাউকে আমাদের দেশে আসতে দেব না।
 
ইবোলা আক্রান্ত কাউকে ধরার জন্য বিশেষ পোশাক সরবরাহসহ সব ধরনের সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
 
সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
 
সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজউদ্দিন, সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।