ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু: রামেক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন মা-বাবা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু: রামেক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন মা-বাবা

রাজশাহী: রাজশাহীতে দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখছে ঢাকা থেকে আসা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তিন সদস্যের দল। তারা সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা দুই শিশুর মা ও বাবার সঙ্গে কথা বলেছে।

তাদের শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল। তাই আপাতত তাদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে নিজেদের বাড়িতে গিয়েও তাদের আইসোলেশনেই থাকতে হবে।

জানতে চাইলে সোমবার দুপুরে রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘ওই দুই সন্তানের মা ও বাবার গতকাল (রোববার) জ্বর ছিল। আল্লাহর রহমতে আজকে আর জ্বর নেই। যেহেতু কোনো ভাইরাস এখনো শনাক্ত করা যায়নি, সেহেতু তাদের নিজ বাসাতেই আইসোলেশনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও আজকে রিলিজ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। ’

এর আগে সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে আসা আইইডিসিআরের তিন সদস্যের তদন্ত টিম শিশু দুটির বাবা মিজানুর রহমান ও মা পলি খাতুনের সঙ্গে কথা বলেন। শিশু দুটির ও তাদের বাবা-মায়ের রোগের কেস হিস্ট্রির বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেন তারা। এছাড়া মৃত দুই শিশুর নমুনাও সংগ্রহ করেন তদন্ত দল।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহাম্মদ বলেন, মৃত দুই শিশু ও তার বাবা-মা আসলে কোনো অজানা রোগে আক্রান্ত কি না তার সঠিক কারণ বের করা প্রয়োজন। তাই আইইডিসিআরের তিন সদস্য অধিকতর তদন্তের জন্য রাজশাহী এসেছেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করতে তারা কাজ করছেন। ঢাকায় পাঠানো আগের নমুনাও পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

এছাড়া মৃত শিশুর পাকস্থলীর খাবারের নমুনা হাসপাতালে সংরক্ষণ করে রাখা ছিল। এই নমুনাও তারা সংগ্রহ করেছেন। এটি ঢাকার ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে যে, খাবারে কোনো বিষক্রিয়া ছিল কি না।

জানা যায়, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ চত্বরে থাকা গাছের বরই কুড়িয়ে এনে দুই শিশুকে খেতে দিয়েছিলেন তাদের গৃহকর্মী। না ধুয়েই সেই বরই খেয়েছিল এই দম্পতির দুই শিশু সন্তান। এরপর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মারা যায় ছোট মেয়ে মারিশা। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে মারা যায় বড় মেয়ে মাশিয়া। দুইজনেরই জ্বর ও বমির লক্ষ্মণ ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
এসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।