ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩ রমজান ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যশোরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেই, ২ জনের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
যশোরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেই, ২ জনের মৃত্যু

যশোর: যশোরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৯ জন।

এ নিয়ে যশোরে মোট ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১০৮ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন।

শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে যশোর সিভিল সার্জনের মিডিয়া সেলে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, চৌগাছা উপজেলার কয়ারপাড়া গ্রামের সমীর কর্মকারের স্ত্রী দোলন কর্মকার (৩৩) এবং বাঘারপাড়া উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল গফফার (৬৫)।

যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। তারা দু’জনই স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১২ জুলাই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার তাদের মৃত্যু হয়েছে। তারা দু’জনই হার্টের ও ডায়াবেটিস রোগী ছিলেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। আক্রান্তরা সবাই যশোর জেনারেল হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত দু’জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন। মারা যাওয়া দু’জনই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি জানান, যশোরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। খারাপ হতে পারে এমন আশঙ্কায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালসহ প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু কর্নার খোলা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন উপজেলায় নিয়মিত উঠান বৈঠক ও অবহিতকরণ সভা করা হচ্ছে।

এদিকে যশোরের কয়েকটি উপজেলা ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হলেও মশা নিধনের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি।  এ নিয়ে পৌরসভার বাসিন্দাদের মধ্যে বেশি হতাশা। মশা নিধনে স্প্রে বা এডিশ মশার লার্ভা ধ্বংসে প্রত্যাশিত তৎপরতা নেই।

বিশেষ করে যশোর সদর ও অভয়নগর উপজেলা ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হলেও মশার লার্ভা ধ্বংসে অভিযান চালানো হয়নি। সংশ্লিষ্টদের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুধু মিটিং-সিটিংয়ে বক্তব্য রাখতেই দেখা যাচ্ছে।

ঈদের কয়েকদিন আগে জেলা প্রশাসনের জুন মাসের মাসিক সভায় ডেঙ্গুর বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা হয়েছিল। সেখানে মশার লার্ভা ধ্বংসে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক তবে বিষয়টি কোন জনপ্রনিধি আমলে নিয়ে মশা নিধনে ব্যবস্থা নেননি।

যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ বলেন, চলতি মাসের শেষে ৯টি ওয়ার্ডে একসঙ্গে মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করা হবে। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে পৌরসভার উদ্যোগে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
ইউজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।