ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চাহিদার মাত্র ৮ শতাংশ মেডিকেল ডিভাইস তৈরি হয় দেশে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
চাহিদার মাত্র ৮ শতাংশ মেডিকেল ডিভাইস তৈরি হয় দেশে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ

ঢাকা: দেশে মোট প্রয়োজনের তুলনায় মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদন হয় মাত্র ৮ শতাংশ। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এ তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে মেডিকেল সরঞ্জাম ও ডিভাইস উৎপাদনে অগ্রসর হতে মেডিকেল সরঞ্জাম উৎপাদক ও আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি এ কথা জানান।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, বাংলাদেশে মেডিকেল সরঞ্জামের ৪ হাজার কোটি টাকার মার্কেট। এই মার্কেটের মাত্র ৬ থেকে ৮ শতাংশ দেশে উৎপাদন হয়। বাকি সম্পূর্ণটাই আমদানি নির্ভর।

তিনি বলেন, ডিভাইস শুধুমাত্র আমদানি নির্ভর হওয়ার ফলে আমাদের অনেক বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয় এবং প্রয়োজনের সময় পাই না। দেশে সক্ষমতা বাড়াতে আমরা উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছি। এর সঙ্গে বিশেষজ্ঞ যারা এসব সামগ্রী ব্যবহার করে তাদের চাহিদা কত পরিমাণ তা জানার জন্য বলেছি। সবার পরামর্শক্রমে আমরা কীভাবে ডিভাইসগুলোর উৎপাদন বাড়াতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের দেশে সব কিছু উৎপাদন সম্ভব। আমরা টেকনিকালি অনেক অগ্রসর। আমাদের যথেষ্ট পরিমানে টেকনিক্যাল পারসন রয়েছে।

মেডিকেল ডিভাইসের সংকট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে মেডিকেল ডিভাইসের কোনো সংকট নেই। ডলারের দাম বেশি হলেও আমদানিকারকরা ডিভাইস নিয়ে আসছে।

নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো হলো- ১) সরকার যাতে কম মূল্যে উৎপাদকদের ভূমি দেয় সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের কাছে আমরা আবেদন জানাব যেন বেজা, বেপজা এসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে তাদের ভূমির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। যাতে এসব জায়গায় ১০০ ভাগ রপ্তানিমুখী সুবিধা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা যায়।

২) ঋণের সুদের হারের বিষয়ে এসএমই ও সরকারের যেসব খাত আছে সেখানে নির্দিষ্ট হারের চেয়ে কমিয়ে তাদের কীভাবে ঋণ সহায়তা দেওয়া যায়।

৩) ডিভাইস উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানিতে ট্যাক্স ফি যেন কমানো হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া।

তিনি বলেন, সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে ওষুধ প্রশাসন, এনবিআর, অর্থ, বাণিজ্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা আজকেই চিঠি লিখছি, আজকে আমাদের যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তা এগিয়ে নিয়ে যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
আরকেআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।