ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ফুটবল একাডেমি গঠন করতে গোপালগঞ্জে পরিদর্শক দল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
ফুটবল একাডেমি গঠন করতে গোপালগঞ্জে পরিদর্শক দল

গোপালগঞ্জ : বাংলাদেশের ফুটবলের পুনর্জাগরণসহ শক্তিশালী ফুটবল দল গঠনের লক্ষ্যে বছরব্যাপী ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন, প্রশিক্ষণ প্রদান ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতাভূক্ত ফুটবল একাডেমির জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সমম্বয়ে গঠিত কমিটি গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি ফুটবল স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন।

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন ও ক্রীড়া সংক্রান্ত ) কে এম আলী রেজা এর নেতৃত্বে গঠিত প্রতিনিধি দলটি শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধা, আবাসন, জিমনেসিয়াম, সুইমিং সুবিধা, মাঠসহ বিভিন্ন অবকাঠামো পরিদর্শন করেন।

এর আগে প্রতিনিধি দলটি কোটালীপাড়া বাপার্ড পরিদর্শন করে।
  
এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (পরিকল্পনা-২) মো. আব্দুল মালেক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক (পঃ ও উঃ), বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. ইলিয়াস হোসেন, সহকারী প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, গোপালগঞ্জ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জসিম উদ্দিন খসরুসহ স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।  

পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলটি জেলার ক্রীড়া সংগঠকদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে প্রতিনিধিদলটি জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সাথে কথা বলেন।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন ও ক্রীড়া সংক্রান্ত) কে এম আলী রেজা বলেন, দেশের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য ও বাফুফেকে শক্তিশালী করার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় বেশ কয়েকটি ফুটবল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এসব একাডেমি করার জন্য বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত জায়গাগুলো বিবেচনায় আনছি। সেই বিব্নোয় আমরা গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি ফুটবল স্টেডিয়াম পরিদর্শন করলাম। এখানে কী আছে আর কী নেই তার তালিকা তৈরি করছি।

তিনি আরও বলেছেন, এসব একাডেমিতে সারা বছর বাছাইকৃত ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ চলবে। এখানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন হবে, সেখানে তারা অংশগ্রহণ করবে। আমরা চাচ্ছি দেশের খুব ভাল মানের কোচ কিংবা বাইরে থেকে কোচ এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সবোর্চ্চ পর্যায়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে যেন মেধাবীরা বেরিয়ে আসতে পারে। এসব মেধাবীরা আগামীতে জাতীয় দল থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ফুটবলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।

তিনি জানান, এসব একাডেমিতে ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আর প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্পের মেয়াদ হবে ৫ বছর। ৫ বছর পর মূল্যায়ন করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
একরামুল কবীর/এমএইচবি

ফোন: ০১৭১৬-২৫২৪৬৮
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।