ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় খেলা দেখে মুগ্ধ আসিফ

মোয়াজ্জেম হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (স্পোর্টস) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২২
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় খেলা দেখে মুগ্ধ আসিফ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় গায়ক আসিফ আকবর/ছবি: রাকিব উদ্দিন

প্রিয় দলকে সমর্থন দিতে হাজারো দর্শকের ভিড়, বাদ্য-বাজনায় মুখরিত পুরো গ্যালারি; খেলা শুরুর পর ভুভুজেলার গগনবিদারী আওয়াজ আর সমর্থকদের উল্লাস। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে শেষ কবে এমন দিন দেখা গেছে, তা মনে করতে ফুটবলপ্রেমীদের বেশ বেগ পেতে হবে।

ঘরোয়া ফুটবলের সেই হারিয়ে যাওয়া দৃশ্য ফিরেছে বসুন্ধরা কিংসের হাত ধরে; যা নজর কেড়েছে ফুটবলপ্রেমীদের। বিষয়টি মুগ্ধ করেছে জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবরেরও।

আজ সোমবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় স্বাগতিকরা মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী লিমিটেডের। এরইমধ্যে বসুন্ধরা কিংসের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ম্যাচটি আপাতদৃষ্টিতে গুরুত্হীন মনে হলেও কিংস অ্যারেনায় ছিল উৎসবের আমেজ। শিরোপা হাতে উদযাপনের সুযোগ না থাকলেও গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। মাঠে কিংসের দেখায়ও ছিল দাপট। তুমুল লড়াই শেষে জয়ের হাসি হেসেছে চ্যাম্পিয়নরাই। ম্যাচটি উপভোগ করতে গ্যালারিতে উপস্থিত হয়েছিলেন গায়ক আসিফ। ম্যাচ শেষে নিজের জনপ্রিয় 'বেশ বেশ শাবাশ বাংলাদেশ' গানের দুই গলি গেয়েও শোনালেন বাংলা গানের যুবরাজ।  

ম্যাচ শেষে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও সমর্থকদের উৎসবে সামিল হতে মাঠে নেমে আসেন আসিফ। সবটা বেশ উপভোগ করছিলেন তিনি। এক ফাঁকে বাংলানিউজকে কিংস অ্যারেনা নিজের মুগ্ধতার কথা জানালেন আসিফ। কিংস অ্যারেনায় খেলা উপভোগ করাকে সাউদাপ্টনের রোজ বোল স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ম্যাচ দেখার সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি।  

আসিফ বলেন, 'একটা ছোট গল্প বলি। ২০০৪ সালে নিউইয়র্কে কনসার্ট শেষে ছুটলাম লন্ডনের উদ্দেশে। সাউদাম্পটনের রোজ বোল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ- ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলা দেখতে।  হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে দুই ঘন্টা জার্নি করে গেলাম। জঙ্গলের ভেতর সবুজ সুন্দর চমৎকার স্টেডিয়াম। বসুন্ধরা কিংসের মাঠ কিংস অ্যারেনায় ঢুকতে গিয়ে সেই সময়ের কথা মনে পড়ে গেল। মনে হচ্ছে রোজ বোল স্টেডিয়ামে খেলা দেখলাম। ভেতরে ঢুকে মন ভরে গেল। খুব ভালো লাগলো। ' 

টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছে অস্কার ব্রুজোনের দল। অভিষেকের পর আর কোনো ক্লাবের এমন হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার নজির নেই। তাইতো এরইমধ্যে দেশব্যাপী অসংখ্য সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে এই ক্লাব জায়ান্টদের। তবে বসুন্ধরা কিংস শুধু মাঠের খেলাতেই নয়, দেশের ফুটবলে বড় অবদান রেখেছে দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ করে। ক্লাবটির ঘরের মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত পরিপূর্ণ এক স্টেডিয়াম।  

ঘরোয়া ফুটবলে দর্শক সংখ্যা যখন কমতির দিকে, তখন কিংস অ্যারেনা যেন ভোজবাজির মতো দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে। নিজেদের ঘরের মাঠে বসুন্ধরা কিংসের খেলা মানেই হাজারো সমর্থকের উপস্থিতি। মাঠে তাদের প্রিয় দলকে সমর্থন দেওয়ার জন্য অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে তারা হাজির হন কিংস অ্যারেনায়। গ্যালারি ভরে ওঠে লাল-সাদা জার্সিতে। দেশের ফুটবলে এ এক জাগরণ বলে মনে করেন আসিফ, 'আমার মনে হয় এটা একটা জাগরণ, বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য। বাকি বড় শিল্প গ্রুপগুলো যদি বসুন্ধরা গ্রুপের মতো এগিয়ে আসে, তাহলে দেশের ফুটবল এগিয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ। আমি খুবই খুশি। ' 

গায়ক আসিফের আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি একসময় পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন। তার জাতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে গাওয়া বিখ্যাত ''সাবাশ বাংলাদেশ'' গানটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম অফিসিয়াল থিম সং। তবে ফুটবলের প্রতিও তার অনুরাগ কোনো অংশে কম নয়। ফুটবলের সোনালী দিনগুলোর কথা স্মরণ করে তিনি জানালেন, কিংস অ্যারেনায় খেলে দেখে পুরনো সেই দিনগুলোর কথাই মনে পড়ছে তার। এমনকি তিনি যে আবাহনীর সমর্থক তা জানাতেও ভুললেন না তিনি, 'আমি আবাহনীর সাপোর্টার। খেলায় হারজিত থাকবেই। খেলা ঠিক আছে, সমস্যা নেই। চমৎকার একটা খেলা দেখলাম। আমি লাস্ট ৩০ বছর আগে খেলা দেখেছি;  এমিলি ভাই, মুন্না ভাইয়ের আমলে। আবার আজকে দেখলাম। খুব ভালো লাগলো। '

বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২২
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।