ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে কিংস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২২
চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে কিংস ছবি: শোয়েব মিথুন

নুহা মারোংয়ের একমাত্র গোলে বসুন্ধরা কিংস চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে। আজ কুমিল্লার ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বসুন্ধরা ১-০ গোলে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনীকে।

বিরতির পর ৫২ মিনিটে মারোং জয়সূচক গোলটি করেন।

লিগের প্রথম পর্বে মারুফুল হকের দলকে ৫-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিলেও ফিরতি ম্যাচে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে কিংসের। প্রথমার্ধে সুযোগ তৈরি করেও আবাহনীর রক্ষণ ভাঙতে পারেননি দলটির ফরোয়ার্ডরা। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে নুহা মারংয়ের গোল ব্যবধান গড়ে দেয়। সুযোগ এসেছিল মারুফুল হকের দলের সামনেও; কিন্তু কিংসের রক্ষণ দেয়নি কোনো সুযোগ

ম্যাচের ১৫তম মিনিটে প্রথমবার ভালো আক্রমণে ওঠে বসুন্ধরা কিংস। রবসন রবিনিয়োর কাছ থেকে পাওয়া বল বক্সের বাইরে থেকে মিগেল ফিগেইরার বাম পায়ের বাঁকানো শট দারুণ প্রচেষ্টায় ফিরিয়ে দেন গোলকিপার সাইফুল। ১৯তম মিনিটে ইয়াসিন আরাফাতের গতির শট ক্রসবারে লেগে না ফিরলে এগিয়ে যেতে পারত কিংস।  

কিংসের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিতে ২৪তম মিনিটে দলটির রক্ষণ কাঁপায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ডান প্রান্ত থেকে ওমিদ পোপালজাইয়ের মাপা ক্রস ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকে পিটার থ্যাংকগডের হেড ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ২৮তম মিনিটে রবসনের বাড়ানো পাস গোলমুখে পা লাগাতে পারেননি ইব্রাহিম, ফলে নষ্ট হয় সুযোগ। পরের মিনিটেই রোবিনহোর গতির শট আটকে দেন গোলকিপার সাইফুল।

৩২তম মিনিটে পায়ে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন চট্টগ্রাম আবাহনীর 'গোলমেশিন' পিটার থ্যাংকগড। তার পরিবর্তে মাঠে নামেন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আরাফাত।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণে ধার বাড়ায় কিংস। ফলও পেয়ে যায় দ্রুত। ৫২তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন নুহা মারং। মাঝ মাঠ থেকে মিগেলের থ্রু পাস অফসাইড ফাঁদ ভেঙে বক্সে ঢুকে পড়া নুহার প্লেসিং শট সাইফুলের হাতে লেগে জালে জড়ায়। দ্বিতীয় লেগে কিংসে যোগ দেওয়ার পর লিগে এটি তার দ্বিতীয় গোল।

৬১তম মিনিটে দুই পরিবর্তন করেন অস্কার ব্রুজোন। তৌহিদুল আলম সবুজ ও ইব্রাহিমকে তুলে মাঠে নামান মতিন মিয়া ও মাহাদি ইউসুফ খানকে। ৬৮তম মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগ নষ্ট করেন রবিনিয়ো। মিগেলের তুলে দেওয়া বল ফাঁকায় থেকে নিয়ে বাঁ পায়ের শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।

৮৭তম মিনিটে ইংল্যান্ড প্রবাসী মাহাদি তার শট লক্ষ্যে রাখতে পারলেই ব্যবধান বাড়াতে পারত। অবশ্য পরের মিনিটেই ভয় ধরায় ক্যান্ডি অগাস্টিন। বক্সের ভেতর থেকে তার বাড়ানো পাস সতীর্থের কাছে পৌঁছনোর আগেই ছয় গজ বক্স থেকে ক্লিয়ার করেন রিমন হোসেন। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে রবিনিয়োর প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন সাইফুল। এতে আর ব্যবধান বাড়ানো হয়নি কিংসের।

এই জয়ের ফলে বসুন্ধরা লিগ টেবিলে তাদের পয়েন্ট আরো সুসংহত করলো। ১৯ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে আছে তারা। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবাহনী এক ম্যাচ কম খেলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। হ্যাটট্রিক লিগ শিরোপা থেকে আর কয়েক কদম দূরে রয়েছে অভিজাতপাড়ার ক্লাবটি। চট্টগ্রাম আবাহনীর সংগ্রহ ১৯ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট। তারা সপ্তম স্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২২
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।