ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

নিজ হাতেই গরু কোরবানি দেন ইমরুল হাসান

আবীর রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২২
নিজ হাতেই গরু কোরবানি দেন ইমরুল হাসান

বসুন্ধরা গ্রুপের 'ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর' কিংবা 'হেড অফ ফিন্যান্স' সব পরিচয় ছাপিয়ে ইমরুল হাসানের বড় পরিচয় তিনি একজন পুরোদস্তুর ফুটবল সংগঠক। বাফুফের দায়িত্বশীল সহ-সভাপতি কিংবা বসুন্ধরা কিংসের সফল সভাপতি ইমরুল হাসানের সাফল্যের গল্পকথাও কারোর অজানা নয়।

 

অজানা নয় ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটির চেয়ার আগলে রাখার ঈর্ষণীয় যোগ্যতার কথাও। শশব্যস্ত এই মানুষটি আবার সামাজিক দায়-দায়িত্ব বোধকে ভুলে থাকেন না। বরং একজন শতভাগ সামাজিক এবং মানবিক বিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আয়োজনে তিনি এককাঠি এগিয়ে।  

দুইদিন পরেই ঈদুল আজহা। শতভাগ করপোরেট ইমরুল হাসান জানালেন- হাটে গিয়ে নিজেই কোরবানির পশু কিনে নিজ হাতে কোরবান দেন। শুধু কোরবানি নয়; ঈদুল আজহার পুরো ভাবনার কথা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরকে জানালেন তিনি।

প্রতিবেদক: সামনেই কোরবানির ঈদ। আপনার ঈদ ভাবনাটা যদি জানান!
ইমরুল হাসান: কোরবানির ঈদ; আমার কাছে সবসময়ই অন্যরকম আনন্দের। খুব ছোট বেলা থেকেই গরু কেনার বিষয়টি আমি খুব উপভোগ করি। চেষ্টা করি ব্যস্ততা সরিয়ে নিজেই গরু কেনার। পছন্দের গরু খুঁজতে এ হাট-ওই হাট ঘুরেও বেড়াই। এটা আমার ব্যক্তিগত ভালো লাগার বিষয়। আর শুনলে অবাক হবেন আমি নিজের হাতেই নিজের কোরবানির গরু জবাই করি।

প্রতিবেদক: এবার ঈদ কোথায় পালন করছেন?
ইমরুল হাসান : আমি সাধারণত ঢাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে আমার বাসায় ঈদ পালন করি। সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠে ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে যাই।

প্রতিবেদক: ঈদ দুয়ারে; গরু কিনেছেন?
ইমরুল হাসান: না; এখনো গরু কেনা হয়নি। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) গরু কেনার পরিকল্পনা করছি।

প্রতিবেদক: এবার কয়টা গরু কোরবানি দেবেন?
ইমরুল হাসান: আমি সাধারণত ৩টা গরু কোরবানি দেই। এবারও সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখার ইচ্ছে। একটা গরু মাদ্রাসায় দিয়ে দিই। একটা গরু কোরবানি করে আশেপাশের দুঃখী-দরিদ্র মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেই। আর নিজে একটির মাংস পরিবার-পরিজন এবং আত্মীয়দের মধ্যে বন্টন করি। সবচেয়ে ছোট গরুই নিজেদের জন্য রাখি।

প্রতিবেদক: কোরবানির ঈদ নিয়ে মজার কোনও অভিজ্ঞতা যদি বলতেন..
ইমরুল হাসান: মজার অভিজ্ঞতা বলবো নাকি দূর্ঘটনার কথা বলবো (হাসি...)। বেশ কয়েক বছর আগে গাবতলী থেকে গরু কিনে নিয়ে আসছিলাম। আমার সঙ্গে চার-পাঁচ জন। সবকিছু ঠিকঠাকই হচ্ছিল। রাস্তার লোকজন গরুর দরদাম জিজ্ঞেস করছিল। আশে-পাশে একটুও তাকানোর সুযোগ ছিল না; হঠাৎ বিধিবাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গরু মহাশয় দৌড় শুরু করলো। হাতে থাকা দড়িরও নাগাল পেলাম না। ছুটছে গুরু; ছুটছি আমরা। একবার আমি আগে; একবার গরু। আশে-পাশের মানুষও ভয়ে আটখান। ছুটছে তারাও। ‘কেহ কারো নাহি ছাড়ে- সমান সমান’। এরপর প্রায় ধরেই ফেলছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সামনে এসে বড় প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ালো একটি ল্যাম্প পোস্ট। তীক্ষ্ণ গতির আমি আর নিজেকে ট্যাকল করতে পারলাম না। এক ধাক্কায় ভূপাতিত। এরপর সব স্বপ্ন। এর পর মনে নেই আর কিছুই; মনে নেই গরুর গল্প (হাসি...)।

প্রতিবেদক: গরু কেনার ব্যাপারে আপনার কোনো পছন্দের হাট আছে?
ইমরুল হাসান: ঢাকার অদূরে গাবতলী গরুর হাটই আমার পছন্দ। আমি সাধারনত ওখান থেকেই আমাদের কোরবানির গরু কিনে থাকি।

প্রতিবেদক: কোরবানীর জন্য আপনার কেমন গরু পছন্দ? মিরকাদিমের গরুর গল্প জানেন? 
ইমরুল হাসান: বাজারে গিয়ে যে গরু ভালো লাগে সেটিই কিনি। শুনেছি বেশ ভালো। এবার না হয়; মিরকাদিমের গরু কোরবানি দিব (আবারও হাসি.....)

প্রতিবেদক: আপনাকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা; আর প্রাণবন্ত সময় সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ইমরুল হাসান: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানাই; ধন্যবাদ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২২
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।