ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

আবিদালের কষ্টের ভিডিও সতীর্থদের দিতে মানা করেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
আবিদালের কষ্টের ভিডিও সতীর্থদের দিতে মানা করেন মেসি মেসি সাহায্য করেননি ক্যান্সার আক্রান্ত আবিদালকে!-ছবি:সংগৃহীত

ফ্রান্স জাতীয় দলের ফুটবলার এরিক আবিদাল ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনায় খেলেছিলেন। তবে ২০১১ সালে লিভার ক্যান্সারের কারণে তাকে অপারেশন থিয়েটার পর্যন্ত যেতে হয়। সে সময় ক্লাব সতীর্থদের থেকে প্রচুর সমর্থন পেলেও এক কঠিন বাস্তবতার মধ্যদিয়ে তাকে যেতে হয়েছিল।

রক্ষণভাগে খেলা এ তারকা জানান, তার জীবনে সবচেয়ে খারাপ সময়টি ছিল, যখন অসুস্থতার কারণে তিনি দল থেকে বাদ পড়েছিলেন।

ক্লাবের কয়েকজন সতীর্থ আবিদালকে এমনও বলেছেন, অসুস্থ অবস্থায় তার অনুপ্রেরণামূলক কোনো ভিডিও যেন না পাঠানো হয়।

তাতে করে দলের সদস্যরা এই ভিডিও দেখে কষ্ট পাবে।

এক সাক্ষাতকারে আবিদাল বলেন, ‘আমার জীবনের ঐ সময়টি স্মরণ করলে খুবই কষ্ট হয়। যেটি ছিল নিদারুণ, যেন একটা ধারালো ছুরি। যখন ডাক্তাররা বললো, আমার অপরারেশন দরকার, আমি তখন খুবই খুশি হয়েছিলাম। এটা এমনই পীড়া ছিল যা আমি আর কারো জন্য আশা করি না। ’...তিনি আরও বলেন, ‘বার্সার একটি ম্যাচের আগে আমি মারাত্মক রোগা হয়ে যাই, তখন আমি একটি ভিডিও বানিয়েছিলাম, যেটি পাঠিয়ে চেয়েছিলাম দলকে উৎসাহ যোগাতে ও আমাকে সমর্থন জানাতে। তবে তুমি কি জানো মেসি আমাকে কি বলেছিল? বললো, আমাদের এমন কিছু দিও না, যা দেখে আমরা কষ্ট পাই। ’

আবিদাল আরও যোগ করেন, ‘আমি এটাতে এমন কিছু দেখিনি, আমি চেয়েছিলাম দলকে উৎসাহ দিতে তবে তারা বললো আমাকে তারা মৃতের মতো দেখেছিল এবং এটা তাদের শুধু মর্মাহতই করবে। ’

যা হোক পরবর্তীতে আবিদালকে দেখার জন্য হাসপাতালে অনেকেই গিয়েছিল। কিন্তু তেমনটি তার জন্য খুব কঠিন ছিল বলে জানান তিনি, যখন থিয়েরি ওরি আমাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিল, আমি তখন বাচ্চাদের মতো কেঁদেছিলাম। আসলে আমার এ অবস্থা সে দেখুক, আমি তা চাইনি। তবে সে যে আমাকে দেখতে এসেছে তা আমার ভালো লেগেছে। ’

বার্সার হয়ে ক্যারিয়ারে ১৯৩টি ম্যাচ খেলেছেন আবিদাল। আর ওরি ছিলেন আবিদালের জাতীয় দল ও বার্সা সতীর্থ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, ১১ জানুয়ারি, ২০১৮
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।