ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মেসি-নেইমারের পর রোনালদো

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
মেসি-নেইমারের পর রোনালদো ছবি: সংগৃহীত

আর্জেন্টাইন আইকন লিওনেল মেসি ও ব্রাজিল সেনসেশন নেইমারকে আইএসের পোস্টারে দেখে ফুটবলবিশ্ব যখন আতঙ্কিত, ঠিক তখনই পর্তুগালের দলপতি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে নতুন এক পোস্টার প্রকাশ করল তারা। তাতে আবারো যেন নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব ফুটবল।

এই পোস্টার প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে তথ্য সংগ্রহকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে পর্তুগিজ অধিনায়কের চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন। রিয়াল তারকার পেছনে দাঁড়িয়ে অস্ত্রধারী এক জঙ্গি।

সেখানে লেখা, ‘আমরা যা বলি সেটা শোনা যায় না, দেখতে হয়। অপেক্ষায় থাকো, আমরাও অপেক্ষায় আছি!’

এর আগে জেলে থাকা আর্জেন্টিনার দলপতি মেসির চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে এমন এক ছবি প্রকাশ করে ২০১৮ ফুটবল বিশ্বকাপে হামলার হুমকি দিয়েছিল ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সেই ভয়াবহতার রেশ কাটতে না কাটতে আরও একটি ছবি প্রকাশ করে আইএসের মুখপাত্র ওয়াফা মিডিয়া ফাউন্ডেশন। রাশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপে আবারও নাশকতার হুমকি দেয় আইএস৷ জঙ্গি সংগঠনটি যে ছবি প্রকাশ করে তাতে দেখানো হয় মেসির পর ব্রাজিলিয়ান আইকন নেইমারের গলা কাটা হচ্ছে।

হুমকির বার্তাসহ সাইট ইন্টেলিজেন্সের প্রকাশিত পোস্টারে দেখা গেছে, মেসিকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে। পাশেই নেইমারের গলায় ছুরি ধরে রেখেছে এক আইএস সদস্য। সেই ছবির পাশে লেখা ছিল, ‘আমরা যতদিন আছি, ততদিন নিরাপদে থাকতে দেব না। ’ হুমকিটা যেন হেসে কেউ উড়িয়ে না দেয়, সে জন্য আরও লিখেছিল, ‘তোমরা এমন এক খেলাফতের বিরুদ্ধে লড়ছ, যাদের অভিধানে ব্যর্থতা বলে কিছু নেই। ’

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসরে হামলার হুমকি দিয়ে এবারই প্রথম এই পোস্টার প্রকাশ হলো না। আগামী জুনে মস্কোয় অনুষ্ঠেয় ওই বিশ্বকাপে আক্রমণের হুমকি দিয়ে এর আগেও এ ধরনের পোস্টার ছাপা হয়। শেষবার প্রকাশিত একটি পোস্টারে রাশিয়া বিশ্বকাপের লোগো বিস্ফোরিত হওয়ার ছবির পাশে লেখা দেখা যায়, ‘আমরাই থাকতে চাই লড়াইয়ের ময়দানে’, ‘আমাদের যোদ্ধারা তোমাদের পুড়ে ছারখার করে দেবে, শুধু অপেক্ষা করো। ’

অবশ্য এর আগে অনুষ্ঠিত ফুটবলের জমজমাট আসরগুলোতেও একই কায়দায় হামলার হুমকি দিয়েছিল আইএস। সবশেষ ২০১৬ ইউরো কাপে এবং এ বছরই অনুষ্ঠিত নারী ইউরো কাপেও আক্রমণের হুমকি দিয়েছিল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি। তবে আয়োজক দেশের সতর্কতায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে আয়োজন।

তারপরও সব ধরনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে রাশিয়া এবং ফিফা কর্তৃপক্ষ অনেক বেশি সজাগ ও সতর্ক বলে জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।