ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

সুয়ারেজের কাছেই অ্যাতলেতিকোর পরাজয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৬
সুয়ারেজের কাছেই অ্যাতলেতিকোর পরাজয়

ঢাকা: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে হাইভোল্টেজ ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। স্প্যানিশ জায়ান্ট অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে পিছিয়ে থেকেও লুইস সুয়ারেজের জোড়া গোলে জয় নিয়ে সেমির পথে এক পা দিয়ে রাখলো বার্সা।

বার্সার ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু’তে আতিথ্য নিয়েছিল দিয়েগো সিমিওনের অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটায় শুরু হয় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি।

এ ম্যাচে মাঠে নামার আগে সবশেষ লা লিগার ম্যাচে ঘরের মাঠেই রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড থেমে গিয়েছিল লুইস এনরিকের বার্সার। আর নিজেদের সবশেষ লা লিগার ম্যাচে ৫-১ গোলে রিয়াল বেতিসকে উড়িয়ে দিয়েছিল অ্যাতলেতিকো। রোজিব্লাঙ্কসদের বিপক্ষে এর আগে টানা ছয়টি ম্যাচ জিতলেও টানা সাতটি ম্যাচ জেতার ইতিহাস ছিল না বার্সার।

কাতালানদের হয়ে শুরুর একাদশে মাঠে নামেন টার স্টেগেন, দানি আলভেজ, জেরার্ড পিকে, মাশচেরানো, জরদি আলবা, ইভান রেকিটিক, বুসকেটস, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, লিওনেল মেসি, নেইমার আর লুইস সুয়ারেজ। অপরদিকে, অ্যাতলেতিকোর হয়ে মাঠে নামেন ও’ব্লাক, হুয়ানফ্রান, হার্নান্দেজ, দিয়েগো গডিন, লুইস, সাউল, গ্যাবি, কোকে, ক্যারাসকো, গ্রিজম্যান আর ফার্নান্দো তোরেস।

ম্যাচের প্রথমার্ধে লিড নেয় অতিথি হিসেবে খেলতে নামা অ্যাতলেতিকো। খেলার ২১ মিনিটের মাথায় নেইমার গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। আলভেজের বানিয়ে দেওয়া বলে গোল আদায় করতে ব্যর্থ হন ব্রাজিল তারকা। ২৫ মিনিটের মাথায় ক্যাম্প ন্যু’কে কাঁপিয়ে দিয়ে গোল করেন অতিথি তারকা তোরেস। ফলে, ১-০ গোলে এগিয়ে যায় অ্যাতলেতিকো।

২৯ মিনিটের মাথায় নেইমারকে ফাউল করার দায়ে হলুদ কার্ড দেখেন গোলদাতা তোরেস। ৩৫ মিনিটের মাথায় আরেকবার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তোরেসকে। ফলে, ১০ জনের দলে পরিণত হয় অ্যাতলেতিকো।

দশ জনের দল নিয়ে সিমিওন শিষ্যরা স্বাগতিকদের স্কোর গড়তে বাধা দেয়। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় অ্যাতলেতিকো।

বিরতির পর ম্যাচের ৫০তম মিনিটে দুর্দান্ত একটি শট নেন বার্সার প্রাণভোমরা মেসি। তবে, গোলের দেখা পাননি তিনি। পরের মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন নেইমার। ৫৮ মিনিটের মাথায় মেসির জোরালো শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন অ্যাতলেতিকোর গোলরক্ষক ও’ব্লাক। ৬২ মিনিটে নেইমারের কোনাকুনি শট পোস্টের কয়েক ইঞ্চি বাইরে দিয়ে চলে যায়।

খেলার ৬৩ মিনিটে ম্যাচে ফেরে বার্সা। দলকে সমতায় ফেরান সুয়ারেজ। পোস্টের বাম দিক থেকে আলভেজের তুলে মারা বল পান আলবা। সেখান থেকে বল পান সুয়ারেজ। অ্যাতলেতিকোর বক্সে পাওয়া বলে আলতো পা ছুঁয়েই জালে জড়ান সুয়ারেজ (১-১)।

ম্যাচের ৭০ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন সুয়ারেজ। ৭৪ মিনিটের মাথায় নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন বার্সার উরুগুইয়ান এই তারকা। পোস্টের বামদিক থেকে দানি আলভেজের তুলে মারা বলে দুর্দান্ত হেড করে অ্যাতলেতিকোর জালে দ্বিতীয়বার বল জড়ান সুয়ারেজ। ফলে, ২-১ গোলের লিড নেয় কাতালানরা।

ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে অ্যাতলেতিকোর মাঠে আতিথ্য নেবে সেমিতে এক পা দিয়ে রাখা মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, ০৬ এপ্রিল ২০১৬
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।