ঢাকা: ফুটবলের দেশে ব্রাজিলে চলমান বিশ্বকাপ লড়াইয়ে শুক্রবার তিনটি ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ছয়টি দল। স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিনগত রাত ১০টায়) নাতালের এস্তাদিও দাস দুনাস স্টেডিয়ামে মেক্সিকো-ক্যামেরুন, বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিনগত রাত ১টায়) সালভেদরের অ্যারেনা ফন্টে নোভা স্টেডিয়ামে স্পেন-নেদারল্যান্ড এবং কুইয়াবার অ্যারেনা পানাতানাল স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিনগত রাত ৪টায়) মুখোমুখি হবে চিলি-অস্ট্রেলিয়া।
ফুটবল বিশ্বকাপের বিংশ আসরের দ্বিতীয় দিনের খেলা দেখতে যে তিনটি স্টেডিয়ামের দিকে তাকিয়ে থাকবে ৩০০ কোটি ফুটবলপ্রেমী, এক পর্যায়ে দেখে নেওয়া যাক সে তিনটি স্টেডিয়ামের খোঁজখবর।

প্রথমেই মেক্সিকো-ক্যামেরুণ রণাঙ্গণ নাতালের এস্তাদিও দাস দুনাস স্টেডিয়াম। ১৯৭২ সালে নির্মিত স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা ৩৯ হাজার ৯৭১ (উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে ৪৫ হাজার)। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে এর সংস্কার কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। শেষ হয় চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি। আর উদ্বোধন করা হয় ২৬ জানুয়ারি। সংস্কার কাজে প্রায় ৪০ কোটি ব্রাজিলিয়ান রিয়াল ব্যয় হয়। এটিকে দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে ‘পারফেক্ট’ স্টেডিয়াম বলা হয়।

গত দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের রণক্ষেত্র সালভেদরের অ্যারেনা ফন্টে নোভা স্টেডিয়াম। ১৯৫১ সালে নির্মিত স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৫১ হাজার ৭০৮।
২০১৪ সালে ব্রাজিলে বিশ্বকাপ হবে বলে ২০০৬ সালে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই স্টেডিয়ামটিকে আধুনিক স্টেডিয়ামে রূপান্তর করার কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ সংস্কার কাজ শেষে ২০১৩ সালের এপ্রিলে এটি উদ্বোধন করা হয়। সংস্কার কাজে নির্মাণ ব্যয় ছিল ৫৯ কোটি ১০ লাখ মিলিয়ন ব্রাজিলিয়ান রিয়াল।
উপরিতলে ঘাসযুক্ত এ স্টেডিয়ামসহ বিশ্বকাপের আয়োজক স্টেডিয়ামগুলোর মাঠ নিয়ে অবশ্য ইতোমধ্যেই অভিযোগ করে ফেলেছে স্প্যানিশরা।

শুক্রবারের শেষ ও টুর্নামেন্টের চতুর্থ লড়াই হবে চিলি ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কুইয়াবা’র অ্যারেনা পানতানাল স্টেডিয়ামে। ২০১৪ সালেই এ স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয়। স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৩৯ হাজার ৮৫৯। এ স্টেডিয়াম নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪২ কোটি ব্রাজিলিয়ান রিয়াল। এটি ‘মাল্টি-ইউজ স্টেডিয়াম’ বলেও পরিচিত।
কোন স্টেডিয়ামে কী ঘটনা ঘটবে, নাকি কোনো অঘটনের ইতিহাস গড়া হবে-এসব জানতে স্টেডিয়ামের দর্শকদের পাশাপাশি প্রায় ৩০০ কোটি ফুটবলপ্রেমীর চোখ এখন উপর্যুক্ত তিনটি স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪