ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

নিষিদ্ধ জীবনের অভিনব অভিজ্ঞতা

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২১
নিষিদ্ধ জীবনের অভিনব অভিজ্ঞতা

যৌনকর্মীরা অনেক সময়ই খদ্দেরদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও ঘটে।

অনেক খদ্দেরের সঙ্গে যৌনকর্মীদের দারুণ সখ্যও গড়ে ওঠে। খদ্দেরদের নিয়ে যৌনকর্মীরা সুন্দর কিছু স্মৃতিচারণা করেছেন। বাজফিডের নোটিশে সাড়া দিয়ে যৌনকর্মীরা স্বেচ্ছায় নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। যৌনকর্মীদের কাছ থেকে সংগৃহীত সেসব অভিজ্ঞতার মধ্যে বাছাই করা কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে বাজফিড। এখানে তার কয়েকটি উল্লেখ করা হলো-

একজন যৌনকর্মী বলেছেন, আমি বেশ কয়েক বছর ধরে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছি। আমার পছন্দের একজন খদ্দের আছে। ক্লাবে নাচের সময় তার মুখে থুথু দেওয়ার জন্য সে আমাকে টাকা দেয়। এমনকি ক্লাবের বাইরে তার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর সে আমার প্রস্রাব একটি কাপে করে নিয়েছে। আমি জানি না যে আমার দেওয়া প্রস্রাব দিয়ে ওই লোক কী করেছে! আমি অবশ্য সেটা জানার চেষ্টাও করিনি। একবার ওই খদ্দের আমার মল নিয়ে গেছে টাকার বিনিময়ে।

আরেকজন যৌনকর্মী বলেন, একজন খদ্দের আমাকে কুকুরের পোশাক পরিয়েছিল। এরপর কুকুরের মতো করে বেল্ট পরিয়েছিল এবং খরগোশের বোতল থেকে পান করিয়েছিল। এরপর মজার ছলে আমাকে থাপ্পড় মারা হয়েছে, ঘুষি মারা হয়েছে। এ ধরনের উদ্ভট অনেক ঘটনা আছে।

আরেকজন যৌনকর্মী বলেন, আমার বোনের সাবেক এক প্রেমিক যৌনকর্মী ছিল। তার কাছ থেকে আমরা বেশ কিছু দুঃখের গল্প শুনেছি। তার কাছে অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি আসত শুধু ভালোভাবে সময় পার করার জন্য। তার মধ্যে এক ব্যক্তি এমন ছিল, যে তাকে বিবস্ত্র করে পেছন দিকে কলমটা শুধু রাখার জন্য অর্থ দিত।

একজন পুরুষ যৌনকর্মী বলেন, একজন নারী আমার কাছে প্রায়ই আসত। তার সঙ্গে আমার ম্যাসেজ চালাচালি হতো। সে বলত, তার স্বামী তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চায়। আমিও তাকে এ ব্যাপারে উৎসাহ দিতাম। কিন্তু সে চাইত তাকে যেন বিশেষ মুহূর্তে মারধর করা হয়। এই ফ্যান্টাসিতে ভুগে সে আমার কাছে আসত। যেটা সে তার স্বামীর কাছে পেত না। আমি কাউকে আঘাত করতে চাইতাম না; কিন্তু তার আবদার ফেলতেও পারতাম না।

আরেক যৌনকর্মী বলেন, আমার এক বান্ধবীকে ফোনে কল দিয়ে চাহিদা পূরণ করে একজন খদ্দের। সপ্তাহে একবার। সেই লোক বলত, ওভেনে টাইমার দিয়ে কথা বলতে। সময় শেষ হলেই কথা শেষ হয়ে যেত।

আরেকজন যৌনকর্মী বলেন, একজন খদ্দেরের চাহিদা হলো- সে শুধু বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে গায়ে কমলা নিক্ষেপ করতে চায়। সেটাও শুধু মঙ্গলবার। এ ক্ষেত্রে শুধু কমলা নিক্ষেপ করে সে।

আরেকজন বলেন, আমার একজন খদ্দের আছে। সেই লোক শুধু কোলের ওপর বসিয়ে রেখেই টাকা দিয়ে চলে যায়।

আরেক যৌনকর্মী বলেন, আমার এক বান্ধবী আছে। সে-ও যৌনকর্মী। তার একজন সেরা খদ্দের আছে। সেই লোক বেশ বয়স্ক। ওই লোকের চাহিদা হলো, আমার বান্ধবী যেন বিবস্ত্র হয়ে তার সঙ্গে বাথটাবে বসে থাকে। সেই লোক তাকে স্পর্শও করে না।

আরেকজন বলেন, আমার একজন খদ্দের আছে, যে তার সঙ্গে আমাকে বেড়াতে নিয়ে যায়। সুন্দর করে লিপস্টিক দিয়ে পাশে বসিয়ে রাখে। পথিমধ্যে আমার লিপস্টিক পাল্টানোর জন্য আবদার করে। আমাকে বসিয়ে রেখে সে বই পড়ে। শুধু এ জন্য সে আমাকে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ দেয়।

আরেকজন বলেন, ভয়েস মেইল পাঠানোর জন্য একজন খদ্দের আমাকে অর্থ দেয়। তবে এ ক্ষেত্রে তার প্রেমিকা সেজে আমাকে অভিনয় করতে হয়। ছেলেটা তার পরিবারকে বোঝাতে চায় যে তার প্রেমিকা আছে।

একজন পুরুষ যৌনকর্মী বলেন, আমার স্ত্রী যৌনকর্মী। তার একজন পছন্দের খদ্দের আছে। সেই লোক তাকে ৪০০ ডলার করে দেয়। অথচ ওই লোকটি তাকে স্পর্শও করে না।
সূত্র : বাজফিড।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।