ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

বিশ্ব ঐতিহ্য বিবেচনায় দেশের ২১৫টি প্রত্নস্থান নির্বাচন

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
বিশ্ব ঐতিহ্য বিবেচনায় দেশের ২১৫টি প্রত্নস্থান নির্বাচন আগারগাঁওয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সেমিনার

ঢাকা: বিশ্ব ঐতিহ্য বিবেচনায় দেশের ২১৫টি প্রত্নস্থানকে নির্বাচন করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। ইউনে‌স্কোর অপা‌রেশন গাইডলাইন অনুসা‌রে বিশ্ব ঐতিহ্য তা‌লিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য এ স্থানগুলো নির্বাচন করা হয়েছে।

‘আপডেটিং দ্য টেনটেটিভ লিস্ট অব বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় এসব স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচিটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং ইউনেস্কোর অর্থায়নে সম্পন্ন হচ্ছে। কর্মসূচিতে গত এক বছরে এ বিষয়ে উন্মুক্ত প্রস্তাব আহ্বান ও অংশীজনের সভার মাধ্যমে আটটি প্রপোজাল নেওয়া হয়। এ আটটি প্রপোজালে দেশের মোট ২১৫টি স্থান নির্বাচিত হয়েছে।

এগুলো হলো ‘আর্কিওলজিক্যাল সেটেলমেন্টস অন লিটারেল ল্যান্ডস্কেপ অব সাউথওয়েস্টার্ন পার্ট অব বাংলাদেশ’ বিভাগে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মোট ২৭টি প্রত্নস্থল, ‘ব্রিক বিল্ট মোঘল মস্ক ইন বাংলাদেশ’ বিভাগে বাংলাদেশের মোঘল সময়ের ৩০টি মসজিদ, ‘কালচারাল ল্যান্ডস্কেপ অব মহাস্থান অ্যান্ড করোতোয়া রিভার’ বিভাগে মহাস্থান অঞ্চলের ৮৪টি প্রত্নস্থল, ‘আর্কিওলজিক্যাল সাইটস অ্যান্ড ল্যান্ডস্কেপ অব লালমাই-ময়নামতি’ বিভাগে লালমাই-ময়নামতি অঞ্চলের ২১টি প্রত্নস্থল, ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ’ বিভাগে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন, ‘দ্য আর্কিটেকচারাল ওয়ার্ক অব মাজহারুল ইসলাম, অ্যান আউটস্ট্যান্ডিং কন্ট্রিবিউশন টু দ্য মর্ডান মুভমেন্ট ইন সাউথ এশিয়া’ বিভাগে স্থপতি মাঝহারুল ইসলামের নকশাকৃত ১৬টি স্থাপনা, ‘মুঘল ফোর্টস অব ঢাকা: এডাপ্টিভ স্টাইল অব মুঘল ফোর্টস অন ফ্লুভিয়াল ট্রেইন’ বিভাগে লালবাগ কেল্লা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী তিনটি জলদুর্গ, এবং ‘মোঘল অ্যান্ড কলোনিয়াল ব্রিক টেমপেলস অব বাংলাদেশ’ বিভাগে মোঘল এবং ঔপনিবেশিক সময়ের ৩৩টি মন্দির নির্বাচন করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য সম্ভাব্য তালিকা হালনাগাদকরণ কর্মসূচির সর্বশেষ অবহিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

সেমিনারে জানানো হয়, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় একটি স্থান স্বীকৃতি পাওয়ার প্রথম ধাপ হলো টেনটেটিভ লিস্ট। একটি স্থান বিশ্ব ঐতিহ্য হওয়ার যোগ্য কি না, ইউনেস্কোর অপারেশনাল গাইডলাইন অনুযায়ী তা বিবেচনা করে এ লিস্ট তৈরি করা হয়। ইউনেস্কোর সহযোগিতায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সেই লিস্ট তৈরি এবং হালনাগাদ করেছে। এরপর এগুলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারা স্থানগুলো যাচাই-বাছাই এবং অন্য আইনি জটিলতা আছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর টেনটেটিভ লিস্টের ওপর ভিত্তি করে যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয় যে প্রপোজালগুলোকে (বিভাগ/ক্যাটাগরি) ঠিক মনে করবে, সেগুলোকে বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ইউনেস্কোতে পাঠানো হবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘আমাদের দেশে বিশ্ব ঐতিহ্য হওয়ার মতো অনেক কিছুই আছে। আমরা চাই সেগুলো দ্রুত নির্বাচন করে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি আনতে। ’

অনুষ্ঠানে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতাউর রহমান, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. আমিরুজ্জামান, অনলাইনে যুক্ত হন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন, ইউনেস্কো বাংলাদেশ প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
এইচএমএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।