ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

ঈদুল আজহা এলেই চাহিদা বাড়ে হোগলা পাতা-খাটিয়ার

দেলোয়ার হোসেন বাদল, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
ঈদুল আজহা এলেই চাহিদা বাড়ে হোগলা পাতা-খাটিয়ার নৌকাবোঝাই হোগলা পাতার পাটি/ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: প্রতিবার কোরবানির ঈদ এলেই মাংস কাটার জন্য হোগলা পাতার পাটির কদর অনেকাংশে বেড়ে যায়। ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় আসতে শুরু করে হোগলা পাতা দিয়ে বানানো পাটি।

হোগলা পাতার পাটিগুলো দেশের খুব কম জেলায় পাওয়া যায়। কারণ এর চাহিদা বছরের শুধুমাত্র কোরবানির ঈদ এলেই বেড়ে যায়। তাই এই ক্ষুদ্র পেশায় নিজেকে জড়াতে চান না অনেক পরিবার। নৌকা থেকে নামানো হচ্ছে হোগলা পাতার পাটি/ছবি: ডিএইচ বাদলখোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার বরুড়ার শাকেরপুর, খোঁশবাশ ইউনিয়ন পরিষদেরসহ অনেক গ্রামে হোগলা পাটি বানানো হয়। এছাড়াও মুন্সিগঞ্জ জেলার ইছাপুরা ইউনিয়নে, সিরাজদিখান উপজেলার আশ-পাশে এই হোগলা পাতার পাটির বানানোর কাজে অনেক পরিবারই জড়িত। বিশেষ করে পরিবারের নারীরা এ পেশায় বেশি জড়িত। তারা সাংসারিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই পাটি বানিয়ে থাকেন। একটি পাটি বানাতে তাদের একদিন সময় লাগে বলে জানিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ থেকে পাটি নিয়ে আসা জালাল নামে একজন পাটিবিক্রেতা। খাটিয়া কিনছেন একজন ক্রেতা/ছবি: ডিএইচ বাদল

রাজধানীর সদরঘাট এলাকার হোগলা পাতার পাটির ব্যবসায়ী আসলাম মৃধা বাংলানিউজকে জানান, এই পাটিগুলো সারাবছর কোনো কদর থাকে না। কোরবানির ঈদের চার থেকে পাঁচ মাস থেকে পাটি বানানোর জন্য অর্ডার দিয়ে আসতে হয়। তখন প্রতিটি পাটি তাদের ৫০ থেকে ৬০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। তাই আমাদেরও বিক্রি করতে হয় বেশি দামে।  

অন্যদিকে কাঠের খাটিয়ার ও কদর হয়ে উঠে আকাশচুম্বী।

নৌকা থেকে নামানো হচ্ছে হোগলা পাতার পাটি/ছবি: ডিএইচ বাদল

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বড় বড় গাছ কিনে এনে রাজধানীর ফরাশগঞ্জ এলাকায় করাতকলে কেটে কোরবানির পশু কাটার জন্য খাটিয়া তৈরি করা হয়। এ সময় এক একটি খাটিয়ার দাম পড়ে ১শ টাকা থেকে আড়াইশো টাকা পর্যন্ত।

মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা করে অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ীরা খাটিয়া ও হোগলা পাটির ব্যবসা শুরু করেন।

খাটিয়া/ছবি: ডিএইচ বাদল হোগলা পাটির শ্রমিক ও কাঠের খাটিয়া ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এই ক্ষুদ্র শিল্পটিকে নিয়ে কারো কোনো পদক্ষেপ নেই। তাই অনেক পরিবার এসব ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন। তাই এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।