তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা নিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।
০২ ডিসেম্বর, ২০১৭, শনিবার। ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৮৫২ - তৃতীয় নেপোলিয়নকে সম্রাট করে দ্বিতীয় ফরাসি সাম্রাজ্য ঘোষিত হয়।
১৯৪২ - শিকাগোতে বিশ্বের প্রথম আণবিক চুল্লি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়।
১৯৫৬ - কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল কাস্ত্রো স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করেন।
১৯৭৮ - রোমে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল সদর দফতর স্থাপিত হয়।
১৯৮৪ – ভারতের ভূপালে বিষগ্যাসে তিন হাজার লোক নিহত এবং ৫০ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১৯৯৫ - লাওস প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৭ - ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত।
জন্ম
১৯২১ - কামরুল হাসান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী। ব্রিটিশ ভারতের বর্ধমান জেলার কালনা থানার নারেঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কামরুল। তার পুরো নাম আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান। কামরুল হাসানকে সবাই শিল্পী বললেও তিনি নিজে ‘পটুয়া’ নামে পরিচিত হতে পছন্দ করতেন। জীবদ্দশায় বিভিন্ন পুরষ্কারে ভূষিত হন কামরুল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (তমঘা-ই-পাকিস্তান, ১৯৬৫), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মান (১৯৭৯), কাজী মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পুরস্কার (১৯৮৫)। ১৯৮৫ সালে তিনি বাংলা একাডেমির ফেলো মনোনীত হন। এছাড়া ছাত্রজীবনে শরীরচর্চায় পারদর্শিতার কারণে ‘মিস্টার বেঙ্গল’ উপাধিও লাভ করেন। কামরুল হাসান ১৯৮৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কবিতা উৎসবে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে 'দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার খপ্পরে' স্কেচটির অঙ্কন কার্য সমাপ্ত করার কয়েক মিনিট পরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
১৯৬০ - সুবর্ণা মুস্তাফা, অভিনেত্রী।
১৯৭৮ - নেলি ফুরটাডো, কানাডিয়ান কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও যন্ত্রশিল্পী।
মৃত্যু
১৯৬৫ - সৈয়দ এমদাদ আলী, সাহিত্যিক।
১৯৬৬ - লাউৎসেন এখবার্টস ইয়ান ব্রাউয়ার, ওলন্দাজ গণিতবিদ।
১৯৯১ - বিমল মিত্র, কথাসাহিত্যিক। ১৯১২ সালে তার জন্ম। বিমল মিত্র বাংলা ও হিন্দি উভয় ভাষায় সাহিত্য রচনা করেছেন। রেলে চাকরি করার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা করতেন তিনি। প্রথম উপন্যাস ‘চাই’। তবে ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাস লিখে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর রেলের চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি সাহিত্যসৃষ্টিতে আত্মনিয়োগ করেন। তার অন্যান্য বিখ্যাত উপন্যাস ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’, ‘একক দশক শতক’, ‘চলো কলকাতা’, ‘পতি পরম গুরু’ ইত্যাদি। ৫০০টি গল্প ও শতাধিক উপন্যাসের লেখক বিমল মিত্র তার 'কড়ি দিয়ে কিনলাম' গ্রন্থের জন্য ১৯৬৪ সালে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়া বহু পুরস্কার ও সম্মান লাভ করেন কামরুল। তার রচনা ভারতের বিভিন্ন চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এনএইচটি/এইচএ
