ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

মেরুদেশের বিস্ময়কর আবিষ্কার

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৭
মেরুদেশের বিস্ময়কর আবিষ্কার মেরুদেশের বিস্ময়কর আবিষ্কার

ঢাকা: সবচেয়ে দুর্গম ও শীতলতম মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা। পৃথিবীর সবচেয়ে কম মানুষ দুঃসাহস দেখিয়েছে এই মহাদেশ অভিযানের। আর দুর্গম এ অঞ্চলে অভিযানে নেমে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেনও অনেকে।

আজও পৃথিবীর সবচেয়ে নির্জনতম স্থান পৃথিবীর দক্ষিণমেরু ঘিরে অবস্থিত অ্যান্টার্কটিকা। তবে থেমে থাকেনি মানুষের অনুসন্ধান।

গবেষকদের অনুসন্ধানে অনেক বিস্ময়কর তথ্য ও আবিষ্কার জানা যায় এই মহাদেশ সম্পর্কে।  

মেরুদেশের বিস্ময়কর আবিষ্কার
বিদঘুটে সাগর মাকড়শা
মাকড়শা সাধারণত স্থলেই থাকতে দেখা যায়। কিন্তু অ্যান্টার্কটিকার বরফ শীতল সমুদ্রের নিচে দেখা মেলে অদ্ভুত দেখতে বাদামি রঙের এ মাকড়শাগুলো। এগুলো দৈর্ঘ্যে ৩০ থেকে ৩৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। তবে চিংড়ি মাছের মতোই নিরীহ।  

মেরুদেশের বিস্ময়কর আবিষ্কার
হিটলারের গোপন ঘাঁটি
কল্পকাহিনীগুলোতে কখনো কখনো চাঁদে হিটলারের গোপন ঘাঁটির উল্লেখ পাওয়া যায়। চাঁদে হিটলার ঘাঁটি গড়তে না পারলেও অ্যান্টার্কটিকায় নাৎসিবাহিনীর ঘাঁটি খুঁজে পেয়েছেন একদল রাশিয়ান গবেষক। এমন নির্জন ও দুর্গম স্থানে কেন সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলা হয়েছে, তা জানা যায়নি। কয়েক যুগ ধরে এ ঘাঁটি পরিত্যক্ত থাকার পর গত বছর অক্টোবরে এর সন্ধান পাওয়া যায়। গবেষকরা এখানে বুলেট, সামরিক নথিপত্র ও যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী খুঁজে পান।  

মেরুদেশের বিস্ময়কর আবিষ্কার
অজানা মেরু সভ্যতা
কয়েক বছর আগে দক্ষিণ মেরুর খুব কাছে কিছু প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। এ নিদর্শনগুলো ইঙ্গিত করে, এ সভ্যতা হয়তো প্রাচীন পারস্য সভ্যতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। গবেষকরা সেখানে মানুষের মমি করা দেহ খুঁজে পান। এ বিষয়ে গবেষকরা এখনও গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন।

মেরুদেশের বিস্ময়কর আবিষ্কার
রক্তিম জলপ্রপাত
শুভ্র বরফ ভেদ করে বেরিয়ে আসছে রক্ত লাল জলপ্রপাত। অ্যান্টার্কটিকার এরকম দৃশ্য কিছুটা ভয় পাইয়ে দিতে পারে অভিযাত্রীদের। তবে ভয়ের কিছু নেই। বরফ ভেদ করে বেরিয়ে আসা এ পানিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রনের উপস্থিতিতে এর রং লাল হয়।

মেরুদেশের বিস্ময়কর আবিষ্কার
নতুন প্রজাতির মৌমাছি
প্রায় একশো বছর আগে নরম তুলতুলে এই মৌমাছিগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। গবেষকরা মনে করেন এ প্রজাতিটি বরফ যুগেরও আগে থেকে বিচরণ করছে। এর ডিএনএর গঠনও সাধারণ মৌমাছির তুলনায় আলাদা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।