ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া ৭ প্রাকৃতিক বিস্ময়

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া ৭ প্রাকৃতিক বিস্ময় পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া ৭ প্রাকৃতিক বিস্ময়

ঢাকা: পৃথিবীর ভূপ্রকৃতি পরিবর্তনশীল। অগ্নেয়গিরি, ভূমিকম্প, বাতাস, পানি, সূর্যালোক প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা প্রতিনিয়ত এর পরিবর্তন ঘটছে। হাজার হাজার বছর ধরে পরিবর্তনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়-উপত্যকা, নদী-নালা, বন-জঙ্গল, মরুভূমি কিংবা জলাশয়। সৃষ্টি হয়েছে অনেক বিস্ময়কর ও মনোরম প্রাকৃতিক ভূচিত্রও। 

ভূপ্রকৃতির পরিবর্তন সাধনে প্রাকৃতিক শক্তির পাশাপাশি মানুষের ভূমিকাও কম নয়। গত ৫০ বছরে প্রাকৃতিক অথবা মানুষের কারণে কিছু বিস্ময়কর ভূচিত্র হারিয়ে গেছে পৃথিবীর বুক থেকে।

 

লেগজিরা বিচলেগজিরা বিচ
মরক্কোর সবচেয়ে বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ হলো লেগজিরা বিচ। বছরের প্রায় সব সময়ই শত শত পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত এ সৈকতে। লেগজিয়ার অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো লাল রঙের বিশাল পাহাড়ের খাদ। যা দেখতে অনেকটা হাতির শুঁড়ের মতো। ২০১৬ সালে এটি ধসে পড়ে।  
জেফরি পাইনজেফরি পাইন
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ইয়োসিমাইট ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত জেফরি পাইনকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আলোকচিত্রিত গাছ। মৃত গাছটি বাতাসে বাঁকা হয়ে ধারণ করেছিল অনন্য সৌন্দর্য। ২০০৩ সালে গাছটি মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে।
আজ্যুর উইন্ডোআজ্যুর উইন্ডো
ইউরোপের ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র মাল্টার সবচেয়ে বিখ্যাত প্রাকৃতিক আকর্ষণ হলো আজ্যুর উইন্ডো। এ স্থানটি পাঠকদের কাছে আরেকটি কারণে পরিচিত মনে হতে পারে। জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘গেম অব থেরনের’ বেশ কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে মনোরম এ স্থানটিতে। এটি ভূমধ্যসাগরের উপকূলে অবস্থিত ঝড়প্রবণ এলাকা। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে পাহাড়ের খাদটি ধসে পড়ে। সমুদ্রের তীব্র স্রোতের কারণে তা ধসে পড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
​ডেড সিডেড সি
ইসরায়েল, জর্ডান ও পশ্চিমতীরের সীমান্তে অবস্থিত ডেড সি এখনও হারিয়ে না গেলেও গবেষকরা বলছেন এর পরিধি আশঙ্কাজনক হারে কমে আসছে। গত সাত বছর ধরে এ লেকের পানির উচ্চতা প্রতি বছর তিন ফুট করে কমে যাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে লবণাক্ত প্রাকৃতিক জলাশয় হিসেবে পরিচিত ডেড সি।
​সলোমান দ্বীপপুঞ্জসলোমান দ্বীপপুঞ্জ
বৈশ্বিক উষ্ণতা ও সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ার ফলে গত বছর সলোমান দ্বীপপুঞ্জের পাঁচটি দ্বীপ সমুদ্রে তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু দ্বীপ এখন আংশিকভাবে সমুদ্র গর্ভে। তলিয়ে যাওয়ার হুমকিতে আছে পার্শ্ববর্তী আরও অনেক দ্বীপ।
​এলিফ্যান্ট রক
এলিফ্যান্ট রক
হাতি সদৃশ এ পাথরটি ছিল কানাডার অন্যতম প্রাকৃতিক আকর্ষণ। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে পাথরটি ধসে পড়ে।
​ঈশ্বরের আঙুল ঈশ্বরের আঙুল 
স্পেনের ক্যানারি দ্বীপের এ বিস্ময়কর পাথরখণ্ডের নাম ‘গডস ফিঙ্গার’ অর্থাৎ ঈশ্বরের আঙুল। দেখলে মনে হবে যেন পানির নিচ থেকে ভেসে উঠেছে এক দৈত্যাকার হাত এবং সেই হাতের একটি আঙুল উঁচিয়ে ইঙ্গিত করা হচ্ছে আকাশের দিকে। গবেষকদের ধারণা প্রায় ১৪ মিলিয়ন বছর আগে অগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসা লাভার মাধ্যমে পাথরটি এমন আকৃতি পায়। ২০০৫ সালের এক ঝড়ে ধসে পড়ে এর চূড়ার অংশটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।