ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

১ কোটি ১৫ লাখ ডলার দামি গুহা

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
১ কোটি ১৫ লাখ ডলার দামি গুহা

ঢাকা: আদিম মানুষ ছিল গুহাবাসী। বাড়িঘর বানাবার মতো বিদ্যেবুদ্ধি বা ক্ষমতা তাদের ছিল না।

গুহাতেই থাকতো তারা। এবার আধুনিক মানুষ বানিয়েছে আধুনিক এক গুহা। আর সে গুহায় আছে সব আধুনিক উপকরণ। শান শওকতের বাড়াবাড়ি এই গুহায় এতো বেশি যে একে মাটির তলের অনুপম প্রাসাদ বললেও ভুল হয় না। শান শওকতেই শেষ নয়, দারুণ সুরক্ষিতও এই গুহা-প্রাসাদ। এমনকি পরমাণু বোমার আঘাতেও এই গুহার কিচ্ছুটি হবে না। কারণ ২০ কিলোটন মাত্রার পরমাণু বোমার আক্রমণেও এই সুরক্ষিত গুহা-প্রাসাদটি থেকে যাবে অক্ষত আর নিরাপদ। তাই সংবাদমাধ্যমের লোকেরা একে ‘আল্টিমেট কেভ’ বলতেও ছাড়ছেন না।

আপনি যদি হন ধনকুবের আর কিনতে চান এই অভিনব গুহা-প্রাসাদ, তাহলে চটজলদি ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নীতিতে কিনেও নিতে পারেন। তবে কিনা এর জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে মাত্র ১ কোটি ১৫ লাখ ডলার!!! বাংলাদেশি টাকায় হিসেবটা কতো দাঁড়ায় তা টাকায় কনভার্ট করে নিতে পারেন। এ ব্যাপারে পত্রিকায় যা লেখা হয়েছে সেটা পড়ুন:  ‘Ultimate man-cave? Underground bunker capable of withstanding nuclear blast is yours for £11.5m.’

পরমাণু বোমার হামলা থেকেই শুধু নয়, এই অভিনব গুহা-প্রাসাদ আপনাকে দেবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে নিশ্ছিদ্র সুরক্ষা, সন্ত্রাসীদের আক্রমণ থেকে বা জনকোলাহল থেকেও রাখবে নিরাপদ। অভিনব এই ভূগর্ভ গুহাটি তৈরি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সাভান্নার কাছে। এটি তৈরি করেছিলেন মার্কিন সেনাবাহিনীর আর্মি কোর ও সেনা প্রকৌশলীরা ১৯৬৯ সালে।

২০১২ সালে গুহাটির প্রয়োজনীয় সংস্কার ও শ্রীবৃদ্ধি করা হয়। আধুনিক জীবনের সব ধরনের বিলাস-ব্যসন আর আরাম আয়েসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এতে। বলাবাহুল্য, গোটা মার্কিন মুলুকে এরকম সুরক্ষিত আর আধুনিক গুহা আর দ্বিতীয়টি নেই। এই গুহার দেয়ালগুলো তিন ফুট পুরু। ভেতরে আছে বাযু চলাচলের সর্বোত্তম ব্যবস্থা। নার্সরুম। ডিকন্টামিনেশন শাওয়ারের ব্যবস্থা আর সেইসঙ্গে ৬৭ হাজার ৫০০ ডলার মূল্যের সিসিটিভি সিস্টেম। .আছে বিশাল এক রসুইঘর। আছে সোলার প্যানেল, হিউমিডিটি কন্ট্রোল সিস্টেম, গরম পানিতে গোসল করার ব্যবস্থা। কতো কিছু যে আছে এতে তা বলতে গেলে বলতে হবে দীর্ঘ  এক কাহন। সেদিকে আর নাইবা গেলাম!

বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
জেএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।