ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

হোক্কাইডো দ্বীপের আদুরে বাসিন্দারা

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৫
হোক্কাইডো দ্বীপের আদুরে বাসিন্দারা

ঢাকা: পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বাস করে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। কারও বাস স্থলে, কারও বা জলে।

কেউ থাকে ধবধবে সাদা বরফ এলাকায়, আবার কেউ চিরহরিৎ জঙ্গলে। জায়গা ভেদে এসব প্রাণীর আকার, গড়ন ও রঙের পরিবর্তন দেখা যায়। একই প্রাণী দেশ, জায়গা ও আবহাওয়া ভেদে বিভিন্ন আকার ও রঙের হতে পারে। এটাই হলো প্রাণিবৈচিত্র্যের একটি অংশ।

আচ্ছা এমনও তো রয়েছে, কোনো কোনো প্রাণী কেবলমাত্র বিশ্বের একটি জায়গাতেই বসবাস করে। এদের আর কোথাও খুঁজে পাওয়াই যাবে না! অথচ একবার সেসব আদুরে প্রাণীদের দেখলে বারবার মন চাইবে কোলে তুলে আদর করতে।

হুম, এতক্ষণ বলছিলাম, উত্তর জাপানের সবচেয়ে বড় দ্বীপ হোক্কাইডোর কথা। এ দ্বীপে বাসা বেঁধেছে মিষ্টি সাত প্রাণী। এ সাত প্রজাতির প্রাণীকে জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপ ছাড়া আর কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এদের মধ্যে আবার কিছু হলো পরিচিত প্রাণীরই বিরল প্রজাতি। বেশ ওদের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় সেরে নেওয়া যাক।

ইজো মোমোঙ্গা

উড়ন্ত কাঠবিড়ালি প্রজাতির এ মিষ্টি প্রাণীটির প্রেমে না পড়ে উপায় নেই। ধবধবে সাদা লোমে আবৃত তার পুরো শরীর। বড় বড় ঘন কালো গভীর চোখ। ইস, দেখলেই মায়া লাগে! সামনের পা দু’টি পেছনের পায়ের তুলনায় ছোট। আর তার কাজ, সারাদিন গাছের ডালে ডালে চড়ে বেড়ানো। মাঝে মাঝে গাছের ডালের ফাঁকে উঁকি দিয়ে দেখে, নতুন কোনো দর্শনার্থী এলো নাকি তাদের দেখতে!
 
সিমা এনাগা

সিমা এনাগা লম্বা লেজের চামচিকার এক প্রজাতি। জাপানের অন্যান্য চামচিকাদের মতো এর রঙ বাদামি নয়। বরফ সাদা সিমা এনাগা শুধুমাত্র হোক্কাইডো দ্বীপেই পাওয়া যাবে।

হোক্কাইডো লাল শেয়াল

সাধারণ লাল শেয়াল বা রেড ফক্সেরই এক জাত এরা। শান্তির খোঁজেই হয়তো বাসা বেঁধেছে এই দ্বীপে। নাম রেড ফক্স হলেও এর গায়ের রঙ কিন্তু পুরোটা লাল নয়। রয়েছে সাদা, বাদামি আর পায়ের নিচের অংশে কালো রঙের ছোঁয়া।

হোক্কাইডো লাল কাঠবিড়ালি

ইউরোশিয় লাল কাঠবিড়ালি এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়লেও, হোক্কাইডোর নিজস্ব এ লাল কাঠবিড়ালি আশ্চর্যজনকভাবেই এই একটি অঞ্চল থেকে অন্য কোনো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েনি।

ইজো নাকি উসাগি

ইজো নাকি উসাগি বা কাঁদুনে খরগোশ উত্তর এশিয়াসহ উত্তর জাপানের সর্বত্র পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, এ খরগোশই পিকাচু অর্থাৎ সবার প্রিয় পোকেমন তৈরির সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিল।

লিজুনা

লিজুনা এক প্রজাতির বেজি যা হোক্কাইডোসহ উত্তর সাইবেরিয়া ও উত্তর স্ক্যান্ডিনেভিয়াতে দেখা যায়। মজার ব্যাপার হলো, এ প্রজাতির বেজিরা শীত এলে ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে। শীত এলে তারা গায়ের রঙ সাদায় বদলে দেয়, ফলে সহজেই বরফের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে।

ইজো ফুক্যুরো

ইজো ফুক্যুরো স্থানীয় ইউরাল পেঁচারই এক প্রজাতি। তবে এ পেঁচারা হোক্কাইডোর অন্যান্য মিষ্টি প্রাণীদের কাছে ভিলেনস্বরূপ। কারণ তারা কেউই ইজো ফুক্যুরোর আনন্দভোজনে পরিণত হতে চায় না!

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।