ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

আত্মবিশ্বাস বাড়াবে সালসা

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৫
আত্মবিশ্বাস বাড়াবে সালসা

ঢাকা: নাচ শুধু বিনোদনের আধুনিক মাধ্যমই নয় বরং তা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। সালসা, নাচের অন্যতম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।

১৯৭০ সালে নিউ ইয়র্কে এ নাচটির গোড়াপত্তন হয়।

সালসা মূলত দক্ষিণ আমেরিকার কিউবা ও এর আশেপাশের অঞ্চলের সে সময়কার প্রসিদ্ধ নাচ সন, সন মন্ট্যুনো, চা চা চা ও মাম্বো নাচেরই পরিশীলিত রূপ।

সালসা ব্যক্তিকে সামাজিক করে তোলার পাশাপাশি আচরণের জড়তা কমাতেও সাহায্য করে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, প্রসিদ্ধ নাচের এ মাধ্যমটি কিভাবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে।


বন্ধুত্ব ও সামাজিকতা
সালসা নাচের মাধ্যমে নতুন বন্ধু তৈরি হয়। ভাবতে অবাক লাগতে পারে, নাচ কিভাবে বন্ধু তৈরি করে! কিন্তু সালসা যেহেতু দু’জন কলাকুশলীর সমন্বয়ে করা হয়, তাই পারস্পরিক সাহায্য ও কথাবার্তার আদান প্রদান ঘটে। ফলে ব্যক্তি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে নিজেকে তৈরি করতে পারে। এতে সামজিকতাবোধও তৈরি হয়।

সচেতনতা
সালসা নাচের নিজস্ব মুদ্রা রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন মুদ্রাগুলো আয়ত্ব করার জন্য কোমর, হাঁটু ও গোড়ালির উপর নির্দিষ্ট ভারসাম্য রাখার প্রয়োজন পড়ে। ফলে ব্যক্তির মনে সচেতনতা তৈরি হয়।


আত্মবিশ্বাস
সালসা যেহেতু দু’জনের সাবলীল অঙ্গভঙ্গির ফল, তাই দু’জনকেই সজাগ থাকতে হয়। নাচের সময় যতটা সম্ভব ভুল এড়ানো যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হয় বলে এক পর্যায়ে গভীর আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে।

জিমের চেয়েও বেশি
সালসা নাচতে পারলে আর জিমে যেতে হবে না! কারণ একঘণ্টা নাচের মাধ্যমে কমবে ৫শ’ কিলোক্যালোরি! এছাড়াও সালসার বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি পেশিকে সবল করে ও শরীরের মেদ কমায়।


মন প্রফুল্ল রাখে
প্রতিদিন একঘণ্টা সালসা নাচ আপনার সব দুশ্চিন্তা, অবসাদ ও হতাশা দূর করে মনকে রাখবে প্রফুল্ল ও সতেজ।

ব্যথা নিরসন
সালসা নাচে পায়ের বিভিন্ন কাজ থাকায় তা হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা কমায়। এছাড়াও পায়ের পেশিবহুল মেদ কমাতে সালসার জুড়ি নেই।



সুস্থ হৃদপিণ্ড
ইতালির একটি গবেষণা অনুযায়ী, সালসা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। সালসা নাচের মাধ্যমে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও ধমনীতে বিশুদ্ধ রক্তের সঞ্চার হয় ফলে হৃদপিণ্ড ভালো থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।