ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

বিউটির প্রাণ জুড়ানো লাচ্ছি-ফালুদা

নাজমুল হাসান, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫
বিউটির প্রাণ জুড়ানো লাচ্ছি-ফালুদা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সময় পেলে বিউটির কাছে ছুটে আসি। একটু রসিকতায় বললেন তারিকুল হাসান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র তিনি। জানালেন, ক্লাসের ফাঁকে বন্ধুদের নিয়ে এখানে এসে আলুপুরি, লাচ্ছি, ফালুদা, লেবুর শরবত খেতে খেতে আড্ডা দেন।

বিউটির লাচ্ছি ফালুদা পাবেন পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের জনসন রোডে। রায় সাহেব মোড় থেকে জনসন রোড ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে কয়েক পা এগোলেই রাস্তার পশ্চিম পাশে মিলবে এই ছোট রেসোরাঁটি। এটি পুরনো ঢাকার একটি ঐহিত্যবাহী খাবারের দোকান। যেখানে তৈরি হয় অনেক ভালো মানের লাচ্ছি, ফালুদা ও লেবুর শরবত।

বিউটির লাচ্ছি-ফালুদার বয়স প্রায় ৭০ বছর। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর আব্দুল আজিজ রাস্তার পাশে টং দোকানে লাচ্ছি বিক্রি করতেন। তার লাচ্ছির স্বাদ ভোজনরসিকদের মন জয় করে। ফলে ছোট দোকানেই সব সময় ভিড় লেগে থাকতো। এখানকার ফালুদাও অনেকের কাছে খুব প্রিয়। তাই আজও সববয়সী মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয় বিউটির লাচ্ছি-ফালুদা।

বর্তমান মালিক আব্দুল আজিজ মিয়ার নাতি জাবেদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, স্বাদ ও মান বজায় রেখে বিউটির লাচ্ছি-ফালুদার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছি। অন্য সব দোকানের লাচ্ছি-ফালুদা থেকে আমাদের তৈরি প্রণালী সম্পূর্ণ আলাদা। লাচ্ছি তৈরির জন্য নিজেদের তৈরি খাঁটি দধি ব্যবহার করি। তাছাড়া ফালুদায় পেস্তাবাদাম, খুরমা, আপেল কুচি, আনার, আঙুর ও কিসমিস ব্যবহার করি।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া ভিন্ন কিছু ব্যবহার করি, যা ব্যবসার গোপনীয়তার স্বার্থে বলা যাচ্ছে না। আগে আমাদের এখানে লেবুর শরবত তৈরি হতো না। কিন্তু বর্তমানে লেবুর শরবতও তৈরি করি।

শীতকালে লাচ্ছি-শরবত তেমন বিক্রি না হলেও গ্রীষ্মকালে ৭শ’ থেকে ৮শ’ গ্লাস লাচ্ছি-শরবত বিক্রি হয় বলে জানান তিনি। শরবতের পাশাপাশি এখানে আলুপুরিও পাওয়া যায়।  

যদি কখনও পুরান ঢাকায়  আসেন তা হলে খেতে ভুলবেন না ঐতিহ্যবাহী বিউটির লাচ্ছি আর ফালুদা। এখানে ফালুদা ৬০ টাকা, স্পেশাল লাচ্ছি ৩৫ টাকা ও নরমাল লাচ্ছি ২৫ টাকা বিক্রি হয়। লেবুর শরবত গ্লাস প্রতি ১৫ টাকা করে।

বিউটির লাচ্ছি-ফালুদার অপর আরও একটি শাখা রয়েছে পুরান ঢাকার নাজিরা বাজার, কাজী আলাউদ্দিন রোডে। এই শাখার ব্যবসা পরিচালনা করছেন জাবেদ হোসেনের ভাই মানিক হোসেন।  

যেভাবে যাবেন
বিউটির লাচ্ছি-ফালুদা থেতে চাইলে গুলিস্তান এসে বাসে করে রায়সাহেব বাজার, জনসন রোড নেমে হাতের ডান দিকে কয়েক পা এগোলেই পেয়ে যাবেন বিউটির লাচ্ছি-ফালুদা। গুলিস্থান থেকে রায়সাহেব বাজার, জনসন রোড যেতে আপনার ৫ থেকে ১০ টাকা বাস ভাড়া লাগবে।

** প্রতিদিন চাই বাকরখানি
** আহ! শমশের আলীর ভুনা খিচুড়ি
** হাজি-নান্নার বিরিয়ানি খেতে পুরান ঢাকায়

বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।