ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

বাঁচবো কেন?

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৫
বাঁচবো কেন?

ঢাকা: অ্যালার্ম ঘড়ির চিৎকারে সকালে ঘুম ভাঙার পর হঠাৎ মনের কোণে মেঘ জমে। আবার বুঝি শুরু হলো জীবনযুদ্ধের আরও একটি দিন।



সারাদিন ব্যস্ততা আর সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে হট বাথ শেষে সোফায় গা এলিয়ে টিভির রিমোর্ট হাতে এলোপাতাড়ি বাটন টেপা। এটাই কি জীবন! জীবন যে চায় প্রাণের ছোঁয়া!

জীবনে প্রাণের স্পন্দন আনতে সকালটা শুরু করুন নতুন ভাবে, নতুন উদ্যমে। প্রতিদিন নিজেকে জাগান নতুন রূপে। বাঁচুন প্রাণ নিয়ে।

এখনো রয়েছে প্রাণ

সকালে ঘুম থেকে উঠে উপলব্ধি করুন, আপনি এখনো বেঁচে রয়েছেন। সুস্থ রয়েছেন। টানা ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের পর আপনার অবচেতন আত্মা আবার সতেজ হয়ে উঠেছে, এজন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানান। নিজের ভেতরের আত্মাকে জাগিয়ে তুলুন। নেমে পড়ুন জীবনের স্বাদ আস্বাদনে।

পুনরায় চেষ্টা করুন

কাজে ভুল হতেই পারে। আমরা প্রতিদিনই কোনো না কোনো ভুল করি। কিন্তু তাই বলে থেমে গেলে চলবে না বা মন খারাপ করা যাবে না। একবার ভুল হয়েছে তো কী হয়েছে! আবার চেষ্টা করুন এবং সেটা আজই।

সমস্যা চিরন্তন নয়

জীবনে সমস্যা ও সমাধান দু’টোই পাশাপাশি চলে। মনে রাখবেন, সব সমস্যারই সমাধান রয়েছে। হয়তো তা এক্ষুনি সমাধান হবে না, তবে কোনো সমস্যাই চিরন্তন নয়। তাই ধৈর্য্য ধরুন।

বন্ধু থাকতে চিন্তা কি!

বন্ধু জীবনের মূল্যবান সম্পদগুলোর মধ্যে একটি। যার বন্ধু রয়েছে তার চিন্তা কী! দিনের কোনো সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন বা ফোনে কথা বলুন, খোঁজখবর নিন। মাঝে মাঝে যেতে পারেন লং ড্রাইভে।

সময়ের মূল্য দিন

সময় এমনই এক অমূল্য সম্পদ যা টাকা দিয়ে কেনা যায় না। তাই সময়কে যথাসম্ভব মূল্যায়ন করুন। কখনও অবসন্ন মন নিয়ে বসে থাকবেন না। মনে রাখবেন, আপনার দুশ্চিন্তা বা মন খারাপ কোনো নেতিবাচক পরিস্থিতিকে বদলে দিতে পারবে না। তাই উঠে দাঁড়ান এক্ষুনি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৈরি করুন নিজেকে।

চোখের তৃষ্ণা মেটান

তাকিয়ে থাকা আর দেখার মাঝে বিস্তর পার্থক্য। চোখেরও রয়েছে ক্ষুধা-তৃষ্ণা। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে জানালার পাশে দাঁড়ান। ভোরের আকাশ দেখুন। গাছের পাতায় সোনারোদের ঝলকানি আর ভোরের পাখি দেখুন মনভরে। ভোরের মিষ্টি বাতাস গায়ে মাখুন। দেখবেন মনে বিরাজ করবে অবিরাম প্রশান্তি।

নিজেকে বিশ্লেষণ করুন

সবসময় নিজেকে বিচার করুন। মনের কাঠগড়ায় নিজেকে দাঁড় করান। নিজের ভুলগুলোকে শুধরে নিন আর গুণগুলোকে প্রসারিত করুন। নিজের কী কী ভালো গুণ রয়েছে ও সেগুলো দিয়ে মানুষের কতটা উপকার করা সম্ভব তা চিন্তা করুন। দেখবেন, পৃথিবীতে আপনার প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাবেন।

কাজ নেই তাই সময় নেই

কথায় বলে, আমার কোনো কাজ নেই তাই আমার কোনো সময় নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষটিকে যদি কোনো কাজ দেওয়া হয়, তা তিনি যথাসময়েই করে ফেলবেন। সময় নেই কথাটা শুধু অজুহাত মাত্র। দিনের বরাদ্দ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেদিনের সমস্ত কাজ করে ফেলা সম্ভব। ব্যাপারটিকে মাথায় রেখে চললেই দেখবেন জমবে না কোনো কাজ।

আর নয় অলসতা

অলসতা এক প্রকার অভ্যাস। আপনি যদি দীর্ঘদিন কাজ করা থেকে বিরত থাকেন তাহলে হঠাৎ কোনো কাজই আপনার ভালো লাগবে না। তাই নিজেই কাটিয়ে উঠুন অলসতা। প্রতিদিনই ব্যায়াম করুন, নিজের যত্ন নিন, ঘর গোছান, শখের রান্না করুন, গাছের পরিচর্যা করুন।

প্রতিটি দিনই নতুন

মানুষের জীবনের প্রতিটি দিনই নতুন। প্রতিটি দিনের শুরুতেই ভাবুন, আজকের দিনটি আপনার বাকি জীবনের প্রথম দিন। এমনও হতে পারে, আপনার আজকের কোনো সিদ্ধান্তে পাল্টে যেতে পারে গোটা জীবনটাই। তাহলে দেরি কেন, লেগে পড়ুন কাজে!

বাংলাদেশ সময়: ০২২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।