ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

পৃথিবীর বাইরে থেকে এলিয়েনের সংকেত!

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫
পৃথিবীর বাইরে থেকে এলিয়েনের সংকেত! ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: এলিয়েন আছে, এলিয়েন নেই- গবেষণা, তর্ক, জল্পনা, কল্পনার শেষ নেই বিষয়টি নিয়ে। সম্প্রতি চালানো গবেষণায় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, তারা মহাশূন্যের অন্য গ্রহে এলিয়েনদের অস্তিত্ব রয়েছে- এ সংকেত পেয়েছেন।



তারা এই সূত্রটি পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সিএস আইআরও এর রেডিও টেলিস্কোপের মাধ্যমে।

৫.৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে বাষ্পীভ‍ূত কালো গর্ত দেখা গেছে। প্রচুর শক্তি সম্পন্ন এই রেডিও টেলিস্কোপটি মাত্র কয়েক মিলি সেকেন্ডের মধ্যে বিস্ফোরিত হয়। তবে জোতির্বিধদের ধারণা ছিল এটি সারাদিনে সূর্যের আলোর মতো শক্তিধর।

বিস্ফেরিত এই রেডিওটি ২০০৭ সালে আবিষ্কার করা হয়। তবে আজ পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানীই এমন রূদ্ধশ্বাস বিস্ফোরণ নিজ চোখে দেখেননি। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ নিউ ওয়েলসের এই রেডিওটি আর্কাইভ বা অসংযুক্ত ডাটা সংরক্ষণ করতো।


টেলিস্কোপ অ্যারিসিবো, পুর্তো রিকো

এর আগেও  ছয়টি রেডিও বিস্ফোরণ হয়েছে আমোদের ছায়াপথে বাইরে। পরবর্তীতে এগুলোর অবশিষ্টাংশ খুঁজে পাওয়া যায় নিউ ওয়েলসের পার্কসে। এবার বিস্ফোরণ ঘটলো সপ্তম রেডিও টেলিস্কোপ অ্যারিসিবো। এটি পুর্তো রিকোতে অবস্থিত।

এসব বিস্ফোরণ ঘটার কয়েক মাস বা শতাব্দী পর আবিষ্কৃত হয়। পিএইচডি পরীক্ষার্থী এমিলি পেট্রোফ বলেন, আমার এবার এটিকে যথাসমই খুঁজে পেয়েছি।

তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণের সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পেট্রোফের একটি আন্তর্জাতিক দল আছে। তারা এই বিস্ফোরণ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই সংযুক্ত আরো ১২টি টেলিস্কোপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এই ১২টি টেলিস্কোপ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় অস্ট্রেলিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ, চিলি, জার্মানি, হাওয়াই ও ভারত ও মহাশূন্যে অবস্থিত।

ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাদেনার কার্নেগি ইনস্টিটিউশনের সদস্য মানসি কাসলওয়াল জানান, খুব কাছাকাছি গামা রশ্মির বিস্ফোরণ বা সুপারনোভার যাওয়ার ফলে এই বিস্ফোরণ হতে পারে।

নিউট্রন গ্রহ ভাঙনের ফলেও এটা ঘটতে পারে বলে জানান তিনি।

মাত্র কয়েক মিলি সেকেন্ডের মধ্যে বিস্ফোরণ হওয়া এই রেডিওটি সম্পর্কে কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম মেম্বার দানিয়েলি মেলেজানি বলেন, তার মানে নিশ্চই রেডিওটি যথেষ্ট শক্তিধর ছিল। এক দিনে সূর্য যতটুকু আলো দেয় ঠিক তার মতই।


সমাবর্তন ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গকে দিক নির্দেশনা দেয় যেমন আলো বা রেডিও তরঙ্গ, কম্পন। এটি সারিবদ্ধ বা চক্রাকারে হতে পারে। প্রথম নতুন রেডিওটি ২০ শতাংশ বৃত্তাকারে সমাবর্তিত হয়।

অন্যদিকে ইউএফও ইনভেস্টিগেশন ম্যান্যুয়ালের (হইন্স) রচয়িতা নাইজেল ওয়াটসন বলেন, পৃথিবীর বাইরে থেকে আগত সব অভূতপূর্ব সংকেতই আমাদের এলিয়েনদের  বসবাস সম্পর্কে আরও উন্মুখ করে তোলে।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।