ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

গুরুদাসপুরে শিকারির ফাঁদ থেকে ১২০টি বক উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
গুরুদাসপুরে শিকারির ফাঁদ থেকে ১২০টি বক উদ্ধার পাখি অবমুক্ত করা হচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

নাটোর: চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুরে শিকারিদের পেতে রাখা ফাঁদ থেকে ১২০টি বক উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা।  

শনিবার (২০ নভেম্বর) ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত উপজেলার প্রায় ৮টি ফসলি মাঠে অভিযান পরিচলনা করেন একদল তরুণ 
পরিবেশকর্মী।

 

গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের খুবজীপুর উত্তরপাড়া মাঠ, ত্রিমোহনী, কালিবাড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চরপিপলা, যোগেন্দ্রনগর, শ্রীপুর ও কালাকান্দর মাঠে অভিযান পরিচালনা করে পাখি শিকার করা ১২টি ফাঁদ (কিল্লা ঘর) ধ্বংস করা হয়।  

এসময় শিকারিদের ফাঁদ থেকে ১২টি বক ও খাঁচাবন্দি ১০৮টি বুনো বক উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় শিকারিরা।  

পরে উদ্ধার হওয়া পাখিগুলো স্থানীয় এলাকাবাসীদের নিয়ে আকাশে অবমুক্ত করেন পরিবেশকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তানিম, সদস্য মনির হোসেন ও সাদেক আলী প্রমুখ।
 
গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর উপজেলায় এই মৌসুমে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার অতিথি পাখি চলনবিলসহ আশপাশের উপজেলায় আসে।  

এ সুযোগে স্থানীয় পাখি শিকারিরা বিভিন্ন রকম ফাঁদ পেতে বক পাখি শিকার করে থাকে। এবছরও তারা পাখি শিকারে তৎপর রয়েছেন। এই অবস্থায় পাখিগুলোকে রক্ষার জন্য প্রতিদিন পরিবেশকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। পাখি শিকার বন্ধে প্রতিটি এলাকায় বিভিন্নভাবে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।